ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ করে রাশিয়ার কাছ থেকে সাতটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে। এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ডের শীর্ষ নেতা ইউক্রেনকে আরো সাহায্য করার ঘোষণা দিয়েছেন।
কিভাবে ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসণ থেকে নিজেকে রক্ষা করবে? ইউক্রেনকে আর কী সামরিক সাহায্য দেয়া হবে? এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে নেতারা।
ফ্রান্সের প্র্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখো বলেছেন, ”আমরা ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সাহায্য করব। আমরা ইউক্রনকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক গাড়ি দিয়ে সাহায্য করছি। ভবিষ্যতেও সাহায্য করে যাব।”
তিনি আরও বলেন, ”ইউক্রেনের এই পাল্টা আঘাত হানা আগামী বেশ কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস ধরে চলবে। আমরা ইউক্রেনের পাশে থাকব। তারা যাতে আরো এলাকা নিজেদের অধীনে নিয়ে আসতে পারে, তা দেখব। তাহলেই ভালো অবস্থায় থেকে আলোচনা শুরু করতে পারব।”
পোল্যন্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রেজ ডুডা গত সোমবার প্যারিসে পৌঁছান। তারপর আসেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। ডুডা বলেছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার প্রস্তাব এবার অনুমোদন করা উচিত।
ইউক্রেনও ন্যাটোয় যোগ দিতে চায়। এজন্য দেশটি ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যেন তাদের আবেদন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সে বিষয়ে আলোচনা করার অনুরোধ করেছে। তারা ন্যাটো-ইউক্রেন কমিশনের জায়গায় নতুন ন্যাটো-ইউক্রেন কাউন্সিল গঠন করার কথা বলেছে। তারা মূলত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে ও সিদ্ধান্ত নেবে।
শলৎস বলেছেন, ”এখন প্রয়োজন হলো, ইউক্রেনকে সাহায্য করে যাওয়া। যতদিন দরকার আমরা সেটাই করে যাব।”
১৯৯১ সালে জার্মানির ওয়েইমারে পোল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানি একসঙ্গে বৈঠক করে। এর নাম হয় ওয়েইমার ত্রিভুজ। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল পোল্যান্ডসহ সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোকে ন্যাটোয় অন্তর্ভূক্ত করা।
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর পুরো প্রেক্ষাপটটা বদলে যায়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিন দেশের নেতারা একজোট হয়েছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিউনিখে তারা বৈঠক করেন।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে পোল্যান্ড। ডুডা অতীতে বেশ কয়েকবার রাশিয়ার প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর জন্য জার্মানি ও ফ্রান্সের কড়া সমালোচনা করেন। ♦