ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পের আঘাতে কমপক্ষে তিন জন নিহত ও ৩ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯। গত শনিবার তুরস্কের সীমান্তের কাছে উত্তর-পশ্চিম ইরানে এ শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হনে। খবর: রয়টার্স।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির পশ্চিম-আজারবাইজান প্রদেশের খোয় শহরের কাছে। ওই শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি পরিষেবার প্রধানের বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা আইআরএনএ হতাহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে।
ভূমিকম্পটি এতই শক্তিশালী ছিল যে, এটি পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চলকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এর ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, পার্শ্ববর্তী পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ভূতাত্ত্বিকর তাবরিজের আঞ্চলিক রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি বড় শহরেও এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।
ইরানের জরুরি পরিষেবার একজন কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে। সেসব এলাকায় হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা ও কিছু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি বড় টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় ইরানের অবস্থান। তাই পশ্চিম এশিয়ার এ দেশটিতে প্রায়ই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার, এমনকি শক্তিশালী ভূমিকম্পও আঘাত হানে।
উল্লেখ্য, ইরানে সবচেয়ে প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ১৯৯০ সালে। ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও ৩ লাখের বেশি মানুষ আহত হন। এছাড়া এ ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন দেশটির আরও পাঁচ লাখ মানুষ।
এরপর ২০০৩ সালে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রাচীন নগরী বাম প্রায় মাটির সঙ্গে মিশে যায়। এতে এ শহরে কমপক্ষে ৩১ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
এছাড়া ২০১৭ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন আরও ৯ হাজারের বেশি মানুষ। ♦