নতুন বছরের প্রথম দিনে স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসআরবিএম) নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। ২০২২ সালের প্রথম সপ্তাহেও ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়েছিল দেশটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে গতকাল দ্য কোরিয়া হেরাল্ডের প্রতিবেদনে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের রিয়ংসং এলাকা থেকে রোববার স্থানীয় সময় ভোররাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব সাগরে গিয়ে পড়ে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বার্তায় গণমাধ্যমকে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার যে কোনো উসকানির যথাযথ জবাব দিতে আমাদের সেনাবাহিনী প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, সদ্য বিদায়ী বছরে উত্তর কোরিয়া প্রায় ৭০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জাতিসংঘও নিন্দা জানায়।
পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে।
গত বছরে প্রথম ক্ষেপনাস্ত্রটি সাগরে নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। ক্ষমতা গ্রহণের ১০ বছরে উপলক্ষে ২০২২ সালের প্রথম দিন জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন জানান, পরমাণু অস্ত্র নয়, দেশের অর্থনৈতিক ও জীবনমান উন্নয়ন চান তিনি। এ বিষয়গুলোকে ২০২২ সালের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। অন্যসময় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও শত্রুদের মোকাবিলা নিয়ে বক্তব্য শোনা যেত তার কণ্ঠে। কিন্তু সেদিন নিজ দেশের জনগণের মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তবে তার মুখে ভিন্ন সুর শোনা গেলেও বাস্তবে শক্তি প্রদর্শন করেন।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের দাবি, কিম অস্থিতিশীল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামরিক বিকাশ অব্যাহত রাখতে চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
পিয়ংইয়ংয়ের এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। এছাড়া সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে একটি আইন পাস করে। ♦