থাইরয়েডের রোগীর খাবার, রোগটি নিরাময়ে সহায়ক

0

দেশের ১৭ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড হরমোনের সমস্যায় ভুগছে। এর মধ্যে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিজনিত সমস্যা বেশ প্রকট। থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতির বিষয়টিকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলা হয়। এ রোগ পুরুষদের তুলনায় নারীদের ১০ গুণ বেশি হয়ে থাকে।

থাইরয়েড হরমোন আমাদের বিপাক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শরীরের তাপমাত্রা, হৃদস্পন্দন, পৌষ্টিক নালির অভ্যন্তরীণ পরিবহন, প্রজনন স্বাস্থ্য, মস্তিষ্কের গঠন, কোষের গঠন ও ক্ষয়পূরণে এ হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ কারণে হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসা নেয়ার পাশাপাশি এ রোগের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি।

আয়োডিন
থাইরয়েড গ্রন্থির হরমোন নিঃসরণ ও কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিন পুষ্টি উপাদান হলো আয়োডিন, সেলেনিয়াম ও জিংক। শরীরে হরমোন তৈরির মূল কাঁচামাল হলো আয়োডিন। এ কারণে পৃথিবীর যেসব অঞ্চলে আয়োডিনের ঘাটতি রয়েছে, সেসব অঞ্চলের মানুষ হাইপোথাইরয়েডিজমের ঝুঁকিতে রয়েছে। আয়োডিনের ঘাটতি পূরণে প্রয়োজন আয়োডিনসমৃদ্ধ খাদ্য। সামুদ্রিক মাছ, গুল্ম, দুধ ও ডিম আয়োডিনের মূল উৎস। তবে এ কথা মনে রাখা দরকার, অতিরিক্ত আয়োডিন থাইরয়েডের ক্ষতি ডেকে আনে। বিশেষত কিছু ওষুধে অত্যধিক আয়োডিন থাকে, যেমন কাশির সিরাপ।

সেলেনিয়াম
এই খনিজ উপাদান থাইরয়েড হরমোনকে সক্রিয় করে। শরীরের কোষগুলো হরমোনকে কাজে লাগাতে পারে। তাছাড়া এর রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতা। সেলেনিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস হলো ব্রাজিল বাদাম, টুনা মাছ ও ডিম।

জিংক
এ খাদ্য উপাদানও থাইরয়েড হরমোনকে সক্রিয় রাখে। এটি টিএসএইচ নামক হরমোন নিঃসরণ প্রভাবিত করে, যা মূলত থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে জিংকের অভাবে থাইরয়েডের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এর অন্যতম উৎস হলো চিংড়ি, গরুর মাংস, মুরগির মাংস, কাঁকড়া, ঝিনুক ইত্যাদি।

ক্ষতিকর খাদ্যসমূহ
কিছু খাদ্য উপাদান থাইরয়েড হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। এগুলোকে বলা হয় গয়ট্রোজেন। এ উপাদান বিদ্যমান ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, সয়াজাতীয় খাদ্য, মিষ্টিআলু, কাসাভা, স্ট্রবেরি, পিচ ফল, নাশপাতি ও চীনাবাদামে। রান্না করলে গয়ট্রোজেন নষ্ট হয়ে যায়। তখন এগুলো খেতে সমস্যা নেই। 

Share.