যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি) জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সের দুই ডোজ টিকার মধ্যে অন্তত এক ডোজ নেয়া ব্যক্তিদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১৪ গুন কম।
চলতি বছর জুলাইয়ের শেষের দিক থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৫ হাজার চারশোর বেশি পুরুষ রোগীর ঘটনা বিশ্লেষণ করেছে।
এরপর সংস্থা জানায়, এক ডোজ নেয়ার অন্তত ১৪ দিন পর সংক্রমণ পরবর্তী অসুস্থতা দেখা দেয়া টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের সংখ্যা ছিল টিকা না নেয়া ব্যক্তিদের তুলনায় ১৪ ভাগের এক ভাগ।
উল্লেখ্য, টিকাটি মূলত গুটিবসন্তের জন্য উদ্ভাবন করা হলেও এটি মাঙ্কিপক্সের জন্যও কার্যকর বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত কার্যকারিতা এখনও অজানা।
জাপানের ওকাইয়ামা সায়েন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মোরিকাওয়া শিগেরুর মতে, গবেষণাটির মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গবেষণাটিতে দুই ডোজ টিকার পরিবর্তে শুধু এক ডোজ টিকা ব্যবহার করা হয়েছে। তার মতে, সঠিকভাবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নিশ্চিত করতে আরও বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
সারা বিশ্বে স্মলপক্সের টিকা জোরদার না হওয়ায় তরুণদের মধ্যে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। একই সঙ্গে স্মলপক্স টিকার বাইরে থাকাদের মধ্যে মৃত্যুঝুঁকি ১০ থেকে ৪০ শতাংশ বলেও চলতি বছরের মে মাসে এক গবেষণায় বলা হয়েছে।
গবেষণার ফলে আরও বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিকে তিন সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। আক্রান্তদের মধ্যে উপসর্গের ৯৫ ভাগ থাকে মুখে। তাছাড়া সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়া বেশি কাজ করায় তরুণদের মধ্যে আক্রান্তের হার বেশি। তারা একসঙ্গে খেলাধুলা করে, ফলে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে যায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, মূলত ট্রপিক্যাল দেশগুলোয় মাঙ্গিপক্স বেশি ছড়ায়। বলা হচ্ছে, সমকামীরাই এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা অনেকটা একপেশে ধারণা। অন্যরাও সংক্রমিত হচ্ছেন।
মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের পেছনে রয়েছে মাঙ্কিপক্স নামের ভাইরাস। এটি স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির। কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই উত্তর আমেরিকা, ইউরোপসহ বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। ♦