প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিজেদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে দেশের টেক সার্ভিস লিডার গ্রামীণফোন দেশের আট বিভাগীয় শহরে ফাইভজি (৫জি) ট্রায়াল শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জিপি হাউসে এক অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ইনোভেশন ল্যাবে আমন্ত্রিত অতিথি ও গণমাধ্যম অংশীদারা ৫জি সেবা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ পান।
তারা এআর ভিডিও, ভিআর গেমিং, রোবটিক আর্মস, এআর সেলফি ও ক্লাউড গেমিংসহ প্রযুক্তিগত নানা অভিজ্ঞতা লাভ করেন।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গত ২৬ জুলাই ঢাকা ও চট্টগ্রামে সফলভাবে ৫জি ট্রায়াল পরিচালনা করে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেকটিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ই-ই্যান্ড ও বিভাগের কমিশনার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, লিগাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার সৈয়দ দিলজার হোসেন, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান জুয়েল ও মো. নাসিম পারভেজ (মহাপরিচালক, সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগ) আশীষ কুমার কুন্ডু, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা সোলায়মান আলম, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা জয় প্রকাশ, প্রধান করপোরেট কর্মকর্তা হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন, গ্রামীণফোনসহ উইপ্রো, হুয়াওয়েই, জেডটিই পার্টনারদের ঊর্ধ্বতন অন্য কর্মকর্তারা।
গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান অনুষ্ঠানে ৫জি বিষয়ে কিনোট উপস্থাপন করেন।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, দেশজুড়ে ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে, এতেই প্রমাণ হয়, আমাদের দেশ ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি সেবা দানে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেখানে আমরা সবাই কাজ করছি। কিন্তু বিষয়টা এমন নয় যে, নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানানো যাবে না। আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলেয়ে এর (প্রযুক্তি) সুবিধা নিতে হলে সব প্রযুক্তি মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাবনা উন্মোচনে আমাদের ৫জি’র মতো উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োজন। ৫জি অভিজ্ঞতা দানের উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমি গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ দিতে চাই। যার ফলে মানুষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে পারবেন।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের ক্ষমতায়ন ও সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে গ্রামীণফোন। আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে চলমান ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর লক্ষ্য অর্জনের দায়িত্ব আমাদের সবার। টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি থেকে এখন ৫জি কানেক্টিভিটি যুগেও উচ্চগতির কানেকটিভিটি এবং উন্নত ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্যুশন নিয়ে দেশের রূপান্তরে আমরা কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, টেলিনরের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোনের এ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারিগরি সক্ষমতা রয়েছে। বৈশ্বিক পরিসরে এক্ষেত্রে টেলিনরের বিভিন্ন উদাহরণ রয়েছে, যা আমরা স্থানীয় বাজারের উপযোগী করে প্রয়োগ করতে পারি। বিদ্যমান যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো চিহ্নিত করে এ খাতবান্ধব পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাই যাতে ৫জি প্রযুক্তির সুবিধা সবাই গ্রহণ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫জি কানেক্টিভিটির অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করবে গ্রামীণফোন। যার মধ্যে রয়েছে- গুলশান জিপিসি, বিটিআরসি সার্ভিস আইবি (ঢাকা), বুয়েট বিল্ডিং, মিরাবাজার (সিলেট), কলাতলী (কক্সবাজার), খুলনা, গ্রামীণফোন আঞ্চলিক অফিস, ময়মনসিংহ; রাজশাহী আলুপট্টি মোড়, রংপুর নিউ মার্কেট (সিটি করপোরেশন, পায়রা চত্বর), চট্টগ্রাম পাহাড়তলী ও গ্রামীণফোন আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা। ♦