কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় দীর্ঘ দিন ধরে নাকের এক ধরনের বিশেষ স্প্রে নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। নাইট্রিক অক্সাইডের এই স্প্রে করোনার জীবাণুর মাত্রা বা ভাইরাল লোড কমাতে পারে কি না, তা নিয়েই গবেষণা করে দেখছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই গবেষণার ফল এবার পাওয়া গেলো।
সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই নতুন গবেষণার ফল। গ্লেনমার্ক ফার্মার তৈরি এই ফেবিস্প্রেটির তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফল প্রকাশিত হয়েছে এখানে।
দেখা গিয়েছে, এই বিশেষ স্প্রে প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের শরীরে করোনার মাত্রা কমাতে সক্ষম। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৯৪ শতাংশ ও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ মাত্রা কমাতে পারে এই স্প্রে।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নাইট্রিক অক্সাইড নাসাল স্প্রে করোনার জীবাণুকে মারার মতো করেই বানানো হয়েছে। এটি প্রাথমিকভাবে শ্বাসনালীতে কাজ করে। শ্লেষ্মার ওপর যখন এটি স্প্রে করা হয়, তখন এটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে শারীরিক ও রাসায়নিক বাধা তৈরি করে। ভাইরাসটি যাতে আর ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেটিও দেখে এই স্প্রে।
ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গায় এই স্প্রেটি নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০৬ জন আক্রান্তের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। তাদের মধ্যে টিকা নেয়া ও না নেয়া-উভয় শ্রেণির মানুষ রয়েছেন।
সংস্থার অন্যতম প্রধান নিকা ট্যান্ডন জানান, শক্তিশালী ডাবল-ব্লাইন্ড ট্রায়ালে নাইট্রিক অক্সাইড নাসাল স্প্রের উল্লেখযোগ্য কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। ভবিষ্যতে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে এই ওষুধ বড় ভূমিকা নিতে চলেছে বলে আশা তার।
ফেবিস্প্রে নামে এই স্প্রেটি বাজারে আসার কথা। এরই মধ্যে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলের থেকে গ্লেনমার্ক এই স্প্রেটির উৎপাদন ও বিপণনের অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। ♦