২০২১ সালের কোরবানির ঈদে ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে ২৭০০ কোটি টাকার পশু বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
আজ রাজধানীর বনানী হোটেল শেরাটনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ ডিজিটাল পশুর হাট শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের লাভ করার কোনো উদ্দেশ্য নেই। মানুষকে সুবিধা দেয়। করোনাকালে মানুষের অনেক সুরক্ষা হয়েছে, তাদেরকে হাটে আসতে হয়নি। সিটি করপোরেশন সব জায়গায় লাভ করবে তা কিন্তু নয়, আমরা আমাদের মার্কেট স্থানান্তরিত করে করোনা হাসপাতাল করেছি।
স্মার্ট বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমরা ডিজিটাল হাট যেটা করতে যাচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সিটি ঢাকা। সেজন্য স্মার্ট হাট করেছি। এখান থেকে সিটি করপোরেশন আয় করবে না। স্মার্ট হাটে যারা সার্ভিস দিচ্ছেন ব্যাংক বিকাশ ও নগদ কোন সার্ভিস চার্জ নিচ্ছে না। এর ফলে আমরা স্মার্টলি বিষয়টি ডিল করতে চাচ্ছি। নগরবাসী ও খামারিরা যারা আছেন তারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যভাবে গরু বেচা-কেনা করতে পারেন।
মন্ত্রীর অনুমতিতে আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ছয়টি হাটকে অনুমতি দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সবখানে স্মার্ট হাট ছড়িয়ে যাবে। পরীক্ষামূলক হিসেবে আমরা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাটগুলো বেছে নিয়েছি।
কোরবানির পশুর হাটে দাম নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, হাটে ওপেন ইকোনমি ব্যবস্থা থাকবে। মার্কেটে যে দাম থাকবে সেই অনুযায়ী হাটের মূল্য থাকবে। আমার জানামতে, কখনও কোনো মন্ত্রণালয় গরুর হাটের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়নি। সব সময় যেভাবে হয়ে আসছে এখনো সেভাবে। শুধু সার্ভিস অরিয়েনন্টেড ডিজিটাল গরুর হাট হচ্ছে। ♦