সপ্তাহজুড়ে বেক্সিমকোর ৩১৯ কোটি টাকার লেনদেন

0

সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ৩২ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৪টি শেয়ার ৩১৮ কোটি ৮৭ লাখ আট হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দশমিক ১৫ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩৪ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৩৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৬ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৮৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৮৭ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।

চলতি হিসাবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৫১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় দুই টাকা ৩৮ পয়সা ছিল।

প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই, ২০২০-মার্চ, ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৩ টাকা ১৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ৪ টাকা ৩০ পয়সা ছিল।

২০২১ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা ২ পয়সায়, যা ২০২১ সালের ৩১ মার্চে ছিল ৭৮ টাকা ২৮ পয়সা।

এছাড়া প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ টাকা ২২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৪ টাকা ৮২ পয়সা।

এদিকে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭ টাকা ৫৩ পয়সা।

৩০ জুন ২০২১ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৮ টাকা ২৮ পয়সায়। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা লোকসান।

বেক্সিমকো
‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫ হাজার ৮১৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৮৭ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৭৯ শেয়ার রয়েছে। 

Share.