নিজ দেশের মূল্যস্ফীতি কমাতে এবং বেইজিংয়ের ওপর চাপিয়ে দেয়া কিছু শুল্ক প্রত্যাহার করতে শিগগির চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মূল্যস্ফীতির কারণে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বাইডেন প্রশাসনের ওপর। এই পরিস্থিতিতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আপসের ইঙ্গিত দিল ওয়াশিংটন। শিগগির শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
বাইডেন বলেন, প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করেছি, কিন্তু আমরা এখনও কোনো সময় নির্ধারণ করতে পারিনি। তবে যে কোনোদিন এই বৈঠক হতে পারে।
সর্বশেষ ১৮ মার্চ কথা হয়েছিল দুই নেতার। সে সময় বাইডেন রীতিমতো হুশিয়ারি দিয়েছিলেন চীনকে। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন করলে তার ফল ভুগতে হবে বেইজিংকে। কিন্তু এবারের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সুর ‘নরম’ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের পণ্য আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ করের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিলেন। চীনের ‘অনৈতিক’ বাণিজ্যিনীতির কারণে ‘জরিমানা’ হিসেবে এ কর আরোপ করেন ট্রাম্প। সেই করের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী জুলাইয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, সেটি আর বহাল রাখা হবে না। বরং করের বোঝা কমিয়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর দিকে এগোবে যুক্তরাষ্ট্র—এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারার সেক্রেটারি জেনেট ইয়েলিন। তার মতে, এতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্যিক লড়াই নতুন নয়। ডলার ও ইউয়ানকে হাতিয়ার করে বিশ্ববাণিজ্যে একে অন্যকে টেক্কা দিতে মরিয়া দুই দেশ। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ক্রমাগত চীনের বিরুদ্ধে একের পর এক বিধিনিষেধ দেয়ার চেষ্টা করেন। তার চাপিয়ে দেয়া শুল্কের ধাক্কায় বড় ক্ষতিতে পড়ে চীনের অনেক প্রতিষ্ঠান। বেইজিংয়ের অভিযোগ, এই করের বোঝা অবৈধ।
করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় তলানিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। তারই ফল হিসেবে দুই মহাশক্তির বাণিজ্যিক লড়াইয়ের নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ♦