যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। সম্প্রতি দুটি নির্বিচার গুলির ঘটনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এই বিক্ষোভ হয়। ‘আমাদের জীবনের জন্য পদযাত্রা (এমএফওএল)’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
গত মাস থেকে কয়েকবার বন্দুক হামলায় আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণের শিকার হয়েছেন নিরীহ মানুষ। এমনকি স্কুলের শিশুরাও রেহাই পায়নি বন্দুক হামলা থেকে। এ ধরনের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ নাগরিক আঙুল তুলছেন বন্দুকনীতির দিকে।
১৮ বছর বয়স হলেই বন্দুক কিনতে পারেন সাধারণ মানুষ। সেই নিয়ম বদলের জন্য এবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে শামিল হলেন নাগরিকরা। অবিলম্বে এই নিয়ম পালটে দিক সরকার—এই দাবিতে মানুষ মিছিল করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে।
কলম্বিয়া রাজ্যের একটি শহরের মেয়র মুরিয়েল বাউজারও প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন। তিনি বলেন, যথেষ্ট হয়েছে। এবার নিয়ম বদলাতে হবে। সেইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, আমি একজন মা, সেইসঙ্গে মেয়র। যুক্তরাষ্ট্রবাসীর কথা মাথায় রেখেই আমি বলছি, সরকারের উচিত শিগগির পদক্ষেপ নেয়া। আমাদের রক্ষা করা যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের কর্তব্য। বন্দুক হামলা থেকে শিশুদের বাঁচাতে হবে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করুক সরকার। দরকার পড়লে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। মানুষের প্রাণ বাঁচানোই সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। বন্দুক হামলার ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বাইডেন সরকার।
আইন পরিবর্তনের দাবি উঠলেও এখনও এই প্রসঙ্গে কার্যত নীরব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। অবশ্য টেক্সাসের স্কুলে হামলার পর প্রতিবাদ করেছিলেন জো বাইডেন। তিনি জানান, বন্দুক কেনার আইনে কড়াকড়ি করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত আইন বদলের কোনো উদ্যোগ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন সাধারণ মানুষ।
আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইনের দাবিতে ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগোসহ দেশজুড়ে প্রায় ৪৫০টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দেশজুড়ে কয়েকশ পদযাত্রায় অংশ নেয়া বিক্ষোভকারীদের হাতে ‘গুলি থেকে বাঁচতে চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। ♦