৩৩ দেশে শনাক্ত অ্যাকিউট হেপাটাইটিস, মৃত্যু ৯

0
বিশ্বের ৩৩ দেশে ‘অ্যাকিউট হেপাটাইটিস’ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
গত ৫ এপ্রিল থেকে ২৬ মে পর্যন্ত দেশগুলোর অন্তত ৬৫০ শিশুর দেহে রোগটি শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৯৯ সন্দেহভাজন রোগী পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে জানানো হয়, রোগটির উৎস এখনও অজানা। তবে তদন্ত ও গবেষণা করে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গুরুতর ও তীব্র এ ভাইরাসকে কখনও ‘অ্যাকিউট হেপাটাইটিস’, কখনও ‘অজানা হেপাটাইটিস’ বলে ডাকা হচ্ছে। রোগটি শিশুদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে লিভারকে অকার্যকর করে ফেলছে।
সংস্থা জানায়, রোগটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার তীব্র ঝুঁকি না থাকলেও মাঝারি মাত্রার ঝুঁকি রয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম ‘অজানা হেপাটাইটিস’-এর কথা জানায়। সংস্থাটি বলেছিল, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের শিশুরা অজানা হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছে এবং অব্যাহতভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। 
রোগটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপীয় অঞ্চলে। এখন পর্যন্ত ইউরোপের ২২টি দেশে ৩৭৪ জনের শরীরে এ রোগ শনাক্ত হয়েছে।
শুধু যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়েছে ২২২ জন। এর পরের অবস্থানে রয়েছে আমেরিকা।
আমেরিকা অঞ্চলে শনাক্ত হয়েছে ২৪০, যাদের মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ২১৬ জনের শরীরে এ রোগ শনাক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৩৪, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ১৪ ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ৫ শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশ্বজুড়ে অজানা হেপাটাইটিস রোগীর সংখ্যা রহস্যজনকভাবে বাড়ছে। এ পর্যন্ত এ রোগে অন্তত ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 
মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে জানান, সাম্প্রতিক অজানা হেপাটাইটিসের উৎস সম্ভবত অ্যাডেনোভাইরাস। এটি খুবই সাধারণ একটি ভাইরাস, যা শিশুদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানায়, এ রোগ ছড়ানোর পেছনে কোভিড-১৯ মহামারীর কোনো ভূমিকা রয়েছে কি না, তা তারা তদন্ত করে দেখছে। সেসঙ্গে অন্যান্য রোগজীবাণু ও ওষুধের ঝুঁকির কারণগুলোও সিডিসি খতিয়ে দেখছে। 
Share.