জলবায়ু সংকটের কোনো সহজ সমাধান এখনো মানুষের হাতে নেই। তবে বিজ্ঞানীরা আশা দেখাচ্ছেন, নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রযুক্তি থেকে এ সমস্যার মোটামুটি স্থায়ী একটি সমাধান পাওয়া যেতে পারে।
এর আগেও বিজ্ঞানীরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্বনবিহীন অসীম একটি উৎসের খোঁজে ফিউশন নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু এ ধরনের কোনো উদ্যোগ টেকসই হয়নি।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের কয়েক বিজ্ঞানী সুসংবাদ দিয়েছেন। তারা নিউক্লিয়ার ফিউশন তৈরি করে আগের রেকর্ডের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি সময় পর্যন্ত একে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
একই প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদন করে সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্র নিজেদের প্রজ্বলিত রাখে।
নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ায় দুই বা তার চেয়ে বেশি পরমাণু একত্র হয়ে বড় একটি পরমাণু তৈরি করে। এই বিক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণ তাপ শক্তি পাওয়া যায়।
বর্তমানে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে ফিউশন নয়, ফিশন প্রক্রিয়া ব্যবহার হয়। ফিশনের মাধ্যমে পরমাণু একত্র করার বদলে ইউরেনিয়াম পরমাণু ভেঙে শক্তি উৎপাদন করা হয়।
তবে এ প্রক্রিয়ায় তেজস্ক্রিয় বর্জ্য তৈরি হয়, যেগুলো হাজারো বছর পরিবেশে থেকে যেতে পারে। কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব অনেক সুদূরপ্রসারী হতে পারে, যেমনটা হয়েছিল ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমায়।
ফিউশন প্রক্রিয়া তুলনামূলক বেশি নিরাপদ। এতে খুব কম পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয় এবং জ্বালানি হিসেবে খুবই সহজলভ্য, প্রকৃতিতেই পাওয়া যায় এরকম উপকরণ ব্যবহার হয়, যার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রের পানিতে পাওয়া কিছু উপাদান।
সব মিলিয়ে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে টেকসই জ্বালানির ব্যবহার শুরু করতে নিউক্লিয়ার ফিউশন খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ♦