শিক্ষা ডেস্ক: ৩৯তম বিসিএসের (বিশেষ) মাধ্যমে যাদেরকে ননক্যডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল, তা বাতিল করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়সহ নানা দপ্তরে ৫৬৪ চিকিৎসককে ননক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।
এখন তারা মেধাতালিকা অনুযায়ী দুই হাজার চিকিৎসকের তালিকায় যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে। আজ একটি বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে পিএসসি সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসে চিকিৎসকদের ৩৯তম বিসিএসের ননক্যাডারে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্তে জটিলতা তৈরি হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে সুপারিশ পাওয়া ৫৩৫ চাচ্ছিলেন, তাঁদেরকে দুই হাজার চিকিৎসকের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হোক।
তারা বলেন, অপেক্ষমাণ তালিকায় শুরুর দিকে তাঁরা ছিলেন। সেখান থেকে পিএসসি গত ফেব্রুয়ারি থেকে ৫৬৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে। এরমধ্যে ৫৩৫ জনকে মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেন, ‘সরকার ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ও অপেক্ষমান তালিকার মধ্য থেকে দুই হাজার জনকে ননক্যাডার নিয়োগ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে মেধা তালিকা অনুসারে প্রথম ৫৬৪ জনকে ননক্যাডার হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে পদ খালি থাকলে মেধাতালিকা অনুযায়ী তাঁরাই প্রাধান্য পান, যাঁরা প্রথম দিকে আছেন।’
চিকিৎসকরেরা বলেন, মেধা তালিকায় এগিয়ে থেকেও যদি আমরা ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হই আর পেছনে থেকেও যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে ননক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন, তাহলে আমাদেরকে বঞ্চিত ও অবিচার করা হবে।
তাদের মতে, তাঁদের মধ্য থেকে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে প্রয়োজনে পরবর্তী তালিকা থেকে নতুন করে সুপারিশ করা যায়। এতে কেউ বঞ্চিত হবেন না বলে তারা মনে করেন।