ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি খুলছে এ রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গতকাল সোমবার রাজ্য সরকারের সচিবালয় ‘নবান্ন’ থেকে এই ঘোষনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, স্কুল (অষ্টম-দ্বাদশ শ্রেণি), কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পলিকেটনিক, আইটিআই আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে যাবে।
৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার ছুটি।
সেক্ষেত্রে ৩ তারিখ স্কুল খুললে তারা সবাই সরস্বতী পূজা করতে পারবে।
অন্যদিকে পঞ্চম-ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পাড়ায় পাড়ায় পাঠশালা হবে।
সেক্ষেত্রে পাড়ায় ছোট জায়গায় শিক্ষালয় তৈরি করে শিক্ষকরা সেখানে শিক্ষা দেবেন।
তবে ছোটদের স্কুল (প্রথম-চতুর্থ) এখনই খুলছে না।
এদিকে রাজ্যজুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে যে বিধিনিষেধ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জারি ছিল তা নতুন করে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যদিও সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় একাধিক ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে।
মমতা বলেন, ‘তিন বছর ধরে বিধিনিষেধ চলে আসছে, তা যদি সারাবছরই চলতে থাকে তবে মানুষের জীবনটাই অন্ধকারে ডুবে যাবে। আর জীবন না চললে জীবিকাই বা কিভাবে চলবে। আর মানুষের যদি কর্মক্ষমতা, ক্রয়ক্ষমতা না থাকে, শিল্প চালু না থাকে, কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকে তবে সব কিছু থমকে যাবে।’
তাই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ, ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে থিয়েটার, সিনেমা হল, রেস্তোরা ও বার চালু রাখা যাবে। নাইট কারফিউর সময় কমিয়ে রাত ১১টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা করা হয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি অফিসে ৭৫ শতাংশ জনবল নিয়ে কাজকর্ম শুরু করা যাবে। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি রাখা যাবে। যদিও নির্বাচনী সম্পর্কিত কোনো মিটিং-মিছিলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকবে- সর্বাধিক ২০০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। ৭৫ শতাংশ নিয়ে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান করা যাবে।
খুলে দেয়া হচ্ছে সব পার্ক। ♦