কোভিড-১৯ মহামারি বেশ ভুগিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামকে। তবে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ঠিক থাকায় সব ধরনের ধকল কাটিয়ে উঠতে পেরেছে দেশটি।
বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ভিয়েতনামি প্রবাসীরা চলতি বছর দেশটিতে প্রায় এক হাজার তিনশ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। গত বছরের তুলনায় যা ১০ শতাংশ বেশি।
তবে বিশ্বব্যাংক ও গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (নোমাড) ধারণা ছিল, ২০২১ সালে ভিয়েতনামের রেমিট্যান্স দাঁড়াতে পারে এক হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
স্টেট ব্যাংক অব ভিয়েতনামের (এসবিভি) ডেপুটি গভর্নর ডাও মিন তু গতকাল এক সভায় বলেন, এটি একটি কঠিন বছর ছিল। তারপরও ভিয়েতনামিরা এখনো প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, যা বিনিয়োগ ও উন্নয়নের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
তিনি আরও বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা কম আসে ২০১৯ সালে। তবে গত বছর ও চলতি বছর দেশটিতে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার বাজার ও রিজার্ভ স্থিতিশীল করতে সাহায্য করছে।
এ বছর প্রায় ৭০ শতাংশ রেমিট্যান্স এসেছে ক্রেডিট সংস্থার মাধ্যমে, ২৮ শতাংশ রেমিট্যান্স কোম্পানির মাধ্যমে ও বাকিটা ডাক পরিষেবার মাধ্যমে এসেছে বলে জানান ডেপুটি গভর্নর।
ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় রেমিট্যান্স সুবিধাভোগী এলাকা দেশটির রাজধানী চি মিন সিটি। দেশটির মোট রেমিট্যান্সের ৩০ শতাংশই পাঠান ওই এলাকার প্রবাসীরা। বছরের প্রথম সাত মাসেই এখানে এত রেমিন্ট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে ভিয়েতনামের প্রবাসীরা তুলনামূলক বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও তাইওয়ান থেকেও চলতি বছর প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্স এসেছে।
গত বছর ১ হাজার সাতশ দুই কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসে ভিয়েতনামে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর মধ্যে প্রবাসী আয়ের সুবিধাভোগকারী শীর্ষ দশে রয়েছে দেশটি।
নোমাড বলছে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রবাসী আয় গ্রহণকারী দেশের মধ্যে ভিয়েতনামের অবস্থান তৃতীয়। এ হিসেবে বিশ্বে প্রবাসী আয়ের তাদের অবস্থান দাঁড়াবে শীর্ষ আটে। ♦