যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) গতকাল তাদের নাগরিকদের ইতালি, গ্রিনল্যান্ড ও মরিশাস ভ্রমণে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে। কোভিড-১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণের কারণে এ অনুরোধ জানিয়েছে সিডিসি।
সিডিসি ৮৪টি নতুন গন্তব্যকে ‘পর্যায় ৪: উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ শ্রেণিতে ভাগ করেছে। এ তালিকায় ইউরোপের প্রায় সব দেশ রয়েছে।
পরে এ তালিকায় ইতালি ও মরিশাসকে অন্তর্ভূক্ত করে এ দেশ দুটিতে বেড়াতে না যাওয়ার কথা বলা হয়।
ইতালিতে গত সোমবার করোনাভাইরাসে ভুগে ৯৮ জন মারা যান। এর আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৬৬। দিনে গড়ে প্রায় ১২ হাজার ৭১২ জন আক্রান্ত হচ্ছেন, এর আগে এ সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ২১৫।
এ পর্যন্ত ইতালিতে ১৩ লাখ ৪ হাজার ৯২৯ জন কোভিডে মারা গেছেন। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে প্রথম কোভিড রোগী পাওয়া যায়।
ইউরোপে ব্রিটেনের পর ইতালিতে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। আর বিশ্বে তাদের অবস্থান নবম।
এ পর্যন্ত প্রায় ৫২ লাখ ৪০ হাজার ইতালিয়ান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য দেশটিতে ভ্রমণে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের আগে একজন বিদেশী নাগরিককে একদিন আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং ফল অবশ্যই নেভেটিভ হতে হবে। পর্যটকদের অবশ্যই টিকা সনদ দেখাতে হবে।
ওমিক্রন পাওয়া গেছে এমন দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর বাইরে ওমিক্রন পাওয়া গেছে এমন দেশগুলোর ওপর এখনও এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য নিয়মিত কোভিড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ♦