অন্ধত্ব সমীক্ষা: অন্ধত্ব কমেছে ৩৫ শতাংশ

0

গত ২০ বছরে দেশে অন্ধত্বের হার ৩৫ শতাংশ কমেছে বলে এক জরিপ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। রাজধানীর একটি হোটেলে আজ দুপুরে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে জরিপকারী সংস্থা সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)।

ন্যাশনাল আই কেয়ারের প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তায় সিআইপিআরবি বয়স্ক মানুষের অন্ধত্ব ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার প্রবণতা ও তার কারণ অনুসন্ধানে বিভিন্ন সময় গবেষণা বা জরিপ করে থাকে।

প্রকাশিত জরিপ প্রতিবেদনটির শিরোনাম, ‘দেশব্যাপী অন্ধত্ব সমীক্ষা ২০২০’।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল আই কেয়ারের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা।

দেশে অন্ধত্বের হার অনুসন্ধানে এর আগে ১৯৯৯ সালে একটি জরিপ করা হয়। সে প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে ছানিজনিত অন্ধ রোগী ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার। ২০২০ সালের জরিপে এ সংখ্যা কমে হয়েছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার।

তবে এ সময় দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। একই সঙ্গে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে।

জরিপের অংশ হিসেবে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে ৬৪টি জেলার শহর ও গ্রামাঞ্চলের ১৮ হাজার ৮১০ জন অংশগ্রহণকারীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ছানি থেকে অন্ধত্ব হয়েছে এক শতাংশ মানুষের বা ৫ লাখ ৩৪ হাজার জনের।

-প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করা হয়-
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, চোখের নানা সমস্যা কমাতে একটি পরিকল্পিত পদ্ধতি নেয়া উচিত।

দেশে সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টার নির্মাণের মাধ্যমে চোখের স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। ২০২০ সালের বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অন্ধত্ব ৫০ শতাংশ কমাতে ২০০৫ সালে ন্যাশনাল আই কেয়ার প্রোগ্রাম শুরু করে সরকার।

প্রতিবেশী দেশের অন্ধত্বের অবস্থা-
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বয়স্কদের মধ্যে অন্ধত্ব কম। ভারতে পঞ্চাশোর্ধ্বদের মধ্যে অন্ধত্বের হার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। নেপালে এ হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ। পাকিস্তানে অন্ধত্বের হার ২ দশমিক ৭ শতাংশ। বাংলাদেশে এ হার ১ শতাংশ।

Share.