কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে এ সপ্তাহে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের করোনা টিকা দেয়া শুরু হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ দুপুরে অধিদপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। আর তাদের জন্য আলাদা টিকা কেন্দ্র তৈরি করা হবে।
শিশু-কিশোরদের টিকার আওতায় আনার বিষয়টি নানা কারণে এখনো হয়ে ওঠেনি। এর প্রধান কারণ হলো, এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দেয়নি।
তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনেভায় গিয়ে ডব্লিউএইচওর ডিজির সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তারা সম্মতি দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। সেটি মাথায় রেখে আমরাও একই টিকা দেব।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, ডব্লিউএইচও ১২ বছরের বেশি শিক্ষার্থীদের অনুমোদন না দিলেও বিভিন্ন দেশে তাদের ফাইজার দেয়া হচ্ছে। আমাদেরও এমনটা পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যে ২১টি কেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে। এটি সব জায়গায় দেয়া সম্ভব নয়। কারণ ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের জন্য সারাদেশে ওরকম সুযোগসুবিধা নেই।
কোন কোন জেলায় এ টিকা কার্যক্রম শুরু হবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, জেলা ও সিটি করপোরেশনগুলোর যেখানে সুবিধা আছে, আপাতত সেখানেই দেয়া হবে।
বাকিগুলোয় পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে। এটাই এখন মেনে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ফাইজারের টিকা অন্যান্য টিকার চেয়ে একটু আলাদা। এজন্য আলাদা করে টিকা প্রয়োগকারীদের প্রশিক্ষণের দরকার আছে। তবে যেদিন থেকেই শিশুদের টিকা দেয়া শুরু হবে, তার আগের দিনই সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম প্রমুখ। ♦