ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি আরও ২৫ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা আজ দেশে আসছে। ন্যাশনাল এয়ারলাইনসের একটি কার্গোবাহী উড়োজাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে টিকার এ চালান নিয়ে আজ রাত সোয়া ১০টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান বলেন, কোভ্যাক্সের আওতায় এ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ কর্মকর্তারা টিকার চালান বুঝে নিতে বিমানবন্দরে থাকবেন।
কোভ্যাক্সের আওতায় গত ৩১ মে প্রথম চালানে ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজারের টিকা বাংলাদেশে আসে। ১ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় চালানে আসে আরও ১০ লাখ ৩ হাজার ৮৬০ ডোজ টিকা। ২১ জুন দেশে ফাইজারের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়।
এ টিকা সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৯০ থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ফলে এ টিকা সংরক্ষণ করতে আল্ট্রা কোল্ড ফ্রিজারের প্রয়োজন হয়। আর পরিবহনের জন্য থার্মাল শিপিং কনটেইনার বা আল্ট্রা ফ্রিজার ভ্যান লাগে।
সাধারণ রেফ্রিজারেটরে ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা হলে এ টিকা ৫ দিন পর্যন্ত ব্যবহারের উপযোগী থাকে। আর রেফ্রিজারেটরের বাইরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ টিকা দুই ঘণ্টা টেকে।
সংরক্ষণ আর পরিবহনে জটিলতার কারণে প্রাথমিকভাবে কেবল ঢাকায় বাছাই করা কয়েকটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেয়া হয় সে সময়।
বাজারে যত টিকা আছে, তার মধ্যে কেবল ফাইজারের টিকাই ১৮ বছরের কম বয়সীদের দেয়া যায়। কয়েকটি দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের এ টিকা দেয়া হচ্ছে।
পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আরও কম বয়সীদের জন্যও এ টিকা নিরাপদ বলে প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছে ফাইজার-বায়োএনটেক।
বাংলাদেশেও স্কুলশিশুদের ফাইজারের টিকা দেয়ার আলোচনা ছিল।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন করলে তবেই বাংলাদেশ শিশুদের টিকা দেবে।
আজ ২৫ লাখ ডোজ এলে সব মিলিয়ে ফাইজারের ৩৬ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ। ফাইজার ছাড়াও কোভ্যাক্সের আওতায় মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশ পাচ্ছে।
অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোও যাতে করোনাভাইরাসের টিকার ন্যায্য হিস্যা পায়, তা নিশ্চিত করতে ডব্লিউএইচও, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস ‘কোভ্যাক্স’ নামে এ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে। ♦