ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি লেনদেনের চেক বা রশিদের কপি চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এ চিঠি পেয়েছে বলে বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিএফআইইউতে এসব তথ্য পাঠাতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইভ্যালি ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে পরিচালিত সব অ্যাকাউন্টের তথ্য পাঠাতে হবে।
২০২০ সাল থেকে তাদের হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী, ৫০ লাখ টাকা বা তদূর্ধ্ব জমা ও উত্তোলনের ক্ষেত্রে জমা রশিদ বা চেকের কপি (ওয়াক-ইন কাস্টমারের ছবিযুক্ত আইডিসহ) পাঠাতে হবে।
এসব হিসাবের নমিনির তথ্য ও নমিনিদের নামে কোনো অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হলে তাও জানাতে বলা হয়েছে। তাদের নামে এফডিআর, ঋণ হিসাব, এলসি থাকলে সব ধরনের কাগজপত্রসহ তথ্য দিতে হবে।
হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল, টিপি ও এ সংশ্নিষ্ট সব ধরনের দলিল পাঠাতে হবে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালের আগস্টে ইভ্যালি এবং এর চেয়ারম্যান ও এমডির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন এক মাসের জন্য স্থগিত করেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শনে উঠে আসে, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের কাছে ইভ্যালির দায়ের পরিমাণ ৪০৩ কোটি টাকা। আর কোম্পানির চলতি সম্পদের মূল্য ৬৫ কোটি টাকা।
ওই প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, গ্রাহকদের কাছ থেকে ২১৪ কোটি টাকা আগাম নিয়ে পণ্য সরবরাহ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেয়া এক প্রতিবেদনে ই ভ্যালি জানিয়েছে, তাদের মোট দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা। এ দেনার বিপরীতে তাদের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য মোট সম্পদ রয়েছে ৫৪৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা। তবে এতে অদৃশ্য সম্পদ হিসেবে ৪২৩ কোটি টাকাই দেখানো হয়েছে ইভ্যালির ব্র্যান্ড ভ্যালু মূল্যায়নের মাধ্যমে।
ব্র্যান্ড ভ্যালু হিসাবে নিলে ইভ্যালির কোনো দেনা নেই।
চলতি বছর ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে চাওয়া কোম্পানির সম্পদ ও দায় বিবরণীর এমন তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দিয়েছেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল। ♦