যেকোনো সময় দেশে চালু হবে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা ফাইভজি। মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে চালু হবে এ সেবা। অবশ্য বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো এখনো সেবা চালু করতে প্রস্তুত নয়। তবে এ সেবা দিতে মুখিয়ে রয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতারা। এজন্য নীতিমালায় সুযোগের অপেক্ষা করছেন তারা।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, সরকার ফাইভজি নিয়ে চিন্তাভাবনা করলেও এখন পর্যন্ত তারা ফাইভজির পলিসিগত কোনো ধারণা পাননি। ফলে এই বিষয়ে পরিকল্পনা করাও দূরূহ।
আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস আমরা যারা দেই তারা ফাইভজি জন্য পলিসিগত কোনো পরিবর্তন সরকারের কাছ থেকে আমরা পাইনি। আমাদের পক্ষ থেকে বিটিআরসির কাছে একটা চাওয়া ছিল ফাইভজি যখন দেয়া হবে আমরা যারা ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস দেয় তাদেরকে যেন গুরুত্ব দেয়া হয়।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ‘আইএসপিএবি’র এই নেতা আরও জানিয়েছেন, ফাইভজির বিষয়ে ইতোমধ্যে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাদের। তার দাবি, ফাইভজি পলিসিতে ব্রডব্যান্ড অপারেটরদের প্রাধান্য দিলে জনগণ উপকৃত হবে।
এদিকে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ফাইভজিতে ক্লাউড প্রযুক্তির বিকল্প নেই। ফলে ফাইভজি চালুর সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ক্লাউড সিস্টেমে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে দেশের তথ্য থাকবে দেশেই। এমন বলেন, ডেটাসফট সিস্টেম বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান।
তিনি বলেন, এর সঙ্গে যদি আমাদের লোকাল ক্লাউড তৈরি করতে টপ ক্যাপাসিটি আমাদের লাগবে।
ফাইভজি যেমন আধুনিক জীবনযাত্রা আরও সহজতর করে তুলবে তেমনি শিল্প-কারখানার অগ্রগতিতে রাখবে জোড়ালো ভূমিকা। ফলে ইন্ড্রাস্টিতে ব্যবহারের জন্য ফাইভজি ব্যবহারে ব্রডব্যান্ডকেই দায়িত্ব নেয়ার কথা জানিয়েছেন মাহবুব জামান। ♦