কোভিড-১৯: এবার ৪৩ জনের মৃত্যু দেখল দেশ

0

কোভিডে এবার ৪৩ জনের মৃত্যু দেখল দেশ। করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরুর পর যা সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে এত মৃত্যু হয়েছে সবশেষ গত বছর সেপ্টেম্বরে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনায় ৪৩ জনের মৃত্যুর সংবাদ জানায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৩ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩৫৪ জনের।

তাদের নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ হাজার ৬৭০ জনে।

দেশে গত বছর ১১ ডিসেম্বর ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এই ভ্যারিয়েন্টের পর গত মাসে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়।

সে সময় হুহু করে বাড়তে থাকে শনাক্তের হার। অবশ্য গত কয়েক দিনে শনাক্ত কমে নেমেছে ১০ হাজারের নিচে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৩৪৫ জন। তাদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৫ জনের। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ জন।

কয়েক দিন ধরে মৃত্যুও বেড়েছে। এমনকি এক সপ্তাহ পর গত রোববার মৃত্যু ৩০-এর নিচে নামে। এর পরের দিন সোমবার ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। গত এক দিনে তা বেড়ে ৪৩ জন হল।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শনাক্ত ও শনাক্তের হার দ্রুত বাড়লেও মৃত্যু অনেকটা কম ছিল। গত বছর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর দৈনিক মৃত্যু ছাড়িয়ে যায় ২৬৪ জনে। তবে এবার শনাক্তের হার সর্বোচ্চ হলেও মৃত্যু তুলনামূলক কম।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ হাজার ৬৯৮টি। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ৩২ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপর। আর গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি।

গত ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়া নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকে। একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষা করা নমুনার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের মধ্যে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণের পর এত বেশি হারে সংক্রমণ ধরা পড়েনি কখনও।

গত এক দিনে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ২৬ ও নারী ১৭ জন। তাদের মধ্যে এক শিশু ছিল। এ ছাড়া বিশোর্ধ্ব ৩, চল্লিশোর্ধ্ব ৪, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৮, ষাটোর্ধ্ব ১০, সত্তরোর্ধ্ব ১১ ও অশীতিপর ৬ জন ছিলেন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৫ জনের মৃত্যু হয় ঢাকা বিভাগে। এরপরই খুলনা বিভাগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এর পর চট্টগ্রামে ১১,রাজশাহী ২, ময়মনসিংহে ও রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনা সংক্রমণের ৬০ শতাংশের বেশি শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৯২৬টি।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকা কার্যক্রম শুরু করে সরকার। এক বছরে ১০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।

Share.