আইফেল টাওয়ারের আয়রন লেডি লিফটে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে। কেননা দীর্ঘ ৯ মাস পর আজ পুনরায় খুলে দেয়া হলো আইফেল টাওয়ার। লেডি লিফটে চড়ে পর্যটকরা ৩০০ মিটার (১,০০০ ফুট) উঁচুতে ভ্রমণ করেন। কভিড-১৯ মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ লিফটগুলো বন্ধ ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত দীর্ঘ সময় ধরে আইফেল টাওয়ার বন্ধ রাখা হয়েছিল।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা লোহার তৈরি আইফেল টাওয়ারের উচ্চতা ১ হাজার ৫০ ফুট বা ৩২০ মিটার।
আইফেল টাওয়ার খুলে দেয়া হলেও এর চূড়ায় যেতে পারবেন সীমিত সংখ্যক দর্শনার্থীরা।
বর্তমানে প্রতিদিন আইফেল টাওয়ারে ১৩ হাজার মানুষকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সাধারণ সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা অর্ধেক। মূলত সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তবে আগামী বুধবার থেকে আইফেল টাওয়ারে গেলে দর্শনার্থীদের টিকার প্রমাণপত্র বা করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে।
ফ্রান্স সরকারের সাম্প্রতিক নির্দেশনার অংশ হিসেবে এগুলো দেখাতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
আইফেল টাওয়ারের পরিচালনায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান জিন-ফ্রান্সয়েস মার্টিন বলেন, স্পষ্টতই এই অতিরিক্ত কার্যক্রমে জটিলতা রয়েছে। তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব নয়।
প্রতিষ্ঠানের স্টাফদের মাধ্যমে চূড়ান্ত নিরাপত্তা যাচাইয়ের পর তিনি ঘোষণা দেন, আইরন লেডি পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
মহামারির কারণে ফ্রান্সের পর্যটন খাতে ধস নেমেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরার চেষ্টা করছে ফ্রান্স। এরই অংশ হিসেবে পর্যটকদের জন্য আইফেল টাওয়ারের দরজা খুলে দেয়া হলো।
এর আগে গত মাসে ফ্রান্স জানিয়েছে, বিদেশি পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে তারা। তবে শর্ত একটাই- করোনারোধী টিকা নেয়া থাকতে হবে।
ফ্রান্সে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। কিন্তু ম্যাক্রোঁ সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে যেন দ্রুত বেশি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যায়। এতে সংক্রমণের গতি রোধ করা যাবে।
উল্লেখ্য, প্রকৌশলী গুস্তাভ আইফেলের নামে তৈরি হওয়া এই টাওয়ারটি ১৮৮৯ সালের ৩১ মার্চ সাধারণ মানুষের জন্য জন্য খুলে দেয়া হয়। তারপর থেকে আইফেল টাওয়ার কখনও দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ থাকেনি। ♦
