স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত শনাক্ত লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকানের সংখ্যা ১২ হাজার ৫৯২টি। লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত করা ও দোকানের অনুকূলে লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান।
আজ জাতীয় সংসদে নুরুন্নবী চৌধুরীর (ভোলা-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, ৫৫টি জেলা ও আটটি বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে ওষুধের দোকান পরিদর্শন করেন।
লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত হলে তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে লাইসেন্সবিহীন দোকানের মালিক নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া পূরণ করে লাইসেন্স নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
বৈধ ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকানের মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কার্যক্রম চলমান। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ও জরিমানা করা হয়। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টেও মামলা করা হয়।
৩০ হাজার স্যাটেলাইট ক্লিনিকের কার্যক্রম চলমান
মো. হাবিবর রহমানের (বগুড়া-৫) এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন মাঠপর্যায়ে সারাদেশে প্রায় ৩০ হাজার স্যাটেলাইট ক্লিনিকের কার্যক্রম চলমান।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকরা তার ইউনিয়নে প্রতি মাসে আটটি স্যাটেলাইট ক্লিনিক আয়োজনের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা দেন।
যেসব কেন্দ্রে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে ওইসব ইউনিয়নে প্রতি মাসে চারটি স্যাটেলাইট ক্লিনিক পরিচালনা করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাদের পদ শূন্য থাকার কারণে কেনো কোনো ইউনিয়নে স্যাটেলাইট ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাদের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ইউনিয়নগুলোয় স্যাটেলাইট ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে। ♦