হোয়াটসঅ্যাপ: হ্যাক হলে বুঝবেন, উদ্ধারও করবেন

0
বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে সম্প্রতি একটি কল আসে। সেখানে সাংবাদিক পরিচয়ে এক ব্যক্তি জানান তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি মেসেজ ভুল করে চলে গেছে। মেসেজটিতে ছিল ছয় অংকের একটি সংখ্যা। ওই ব্যক্তি অনুরোধ করেন যেন সংখ্যাটি তাক মেসেজে দিয়ে পাঠান। ওই ব্যক্তির পরিচয় বিশ্বাসযোগ্য মনে হওয়ায় তিনি সংখ্যাটি তাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি টের পান তার এ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট অন্য কোথাও লগ ইন হয়ে আছে। ফলে হ্যাকাররা তার কল ও টেক্সটের ওপর নজরদারি করতে পারছেন।

একই ধরণের ঘটনা আরও কয়েকজনের সঙ্গেও ঘটেছে।

হোয়াটসঅ্যাপকে যোগাযোগের অন্যতম নিরাপদ অ্যাপ দাবি করা হলেও এমন হ্যাকের ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের।

হোয়াটসঅ্যাপে সাধারণত একজনের অ্যাকাউন্টে অন্য কেউ ঢুকতে পারে না, জানতে পারবে না তিনি কি বার্তা বিনিময় করছেন – এতে গোপনীয়তা অক্ষুণ্ণ থাকবে।

একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বলেন, নম্বরটি শেয়ার করার জন্যই অন্য কেউ তার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে পেরেছে। এক্ষেত্রে এ ধরণের নম্বর বা যেকোনো ধরণের তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। নিজের মোবাইল ফোন অন্য কারও হাতে না দেয়ার কথাও তিনি জানান।

কেননা অনেকে আপনার মোবাইল ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ ওয়েবে গিয়ে কিউআর কোড খুলে তার কম্পিউটারে অ্যাকসেস নিয়ে নিতে পারবে।

যদি কোনভাবে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েই যায় তাহলে সেটা টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপটি আনইন্সটল করে, নতুন করে ইন্সটল করে নিতে হবে।

এক্ষেত্রে বেশ কয়েকঘণ্টা সময় লাগে। এ সময়ে হ্যাকাররা চাইলে আপনার অ্যাপের সব তথ্য ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারবে। তাই হোয়াটসঅ্যাপের কোন তথ্য গুগল ড্রাইভ বা আইক্লাউডে ব্যাকআপ না রাখাই নিরাপদ। কেননা এখানকার কোন তথ্য এনক্রিপ্টেড থাকে না অর্থাৎ গোপনীয়তার সুরক্ষা এ ক্ষেত্রে কাজ করবে না।

তাই গোপনীয়তা বজায় রাখতে অ্যাপটির সেটিংসে গিয়ে চ্যাট ব্যাকআপ অপশন থেকে “ব্যাকআপ” অপশনটি ডিজঅ্যাবল অর্থাৎ অকার্যকর করে দিতে পারেন।

আর ডেটা ব্যাকআপ দেয়া না থাকলে হ্যাকাররা পুরনো কোন তথ্য ডাউনলোড করতে পারবে না।

যেভাবে বুঝবেন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে কিনা
—হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করুন। ডান পাশের সেটিংসে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবে যান। এখানে যদি কিউআর কোড স্ক্যানার আসে। তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়নি।
—স্ক্যানের বদলে কারেন্টলি অ্যাকটিভ ও ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম ও ব্রাউজারের নাম দেয়া থাকলে, যেমন: কারেন্টলি ওপেন ইন গুগল ক্রোম ব্রাউজার উইন্ডোজ সেভেন, তাহলে বুঝবেন অ্যাপটি অন্য কোথাও খোলা রয়েছে।
—এজন্য নিচে লেখা লগ আউট ফ্রম অল কম্পিউটারে ক্লিক করলে আপনি সব ডিভাইস থেকে আপনার অ্যাকাউন্টটি লগ আউট করতে পারবেন।
—বাড়তি সুরক্ষার জন্য অ্যাপটি আনইন্সটল করা ভাল। আনইন্সটল করলে অ্যাপের তথ্য গায়েব হয়ে যাবেনা। তাই চিন্তার কিছু নেই।
—যে কোন তথ্য নিরাপদ ও অন্যের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখার জন্য মোবাইল বা ডিজিটাল ডিভাইসে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন একটা ভালো উপায়।

Share.