দুই বার এমি পুরষ্কার জয়ী এইচবিওর ‘ভিপ’ শোর সঞ্চালক ডেভিড ম্যানডেল জানিয়েছেন, মহামারী শুরুর আগে এইচবিওর জন্য তিনি একটি লিমিটেড সিরিজ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। স্ক্রিপ্টও তৈরি ছিল। কিন্তু করোনার কারণে শুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় থেমে গেল সব।
ইয়াহুকে ম্যানডেল বলেন, অনেকে বাড়িতে বসে কাজ করতে পারলেও তিনি একজন কমেডিয়ান বলে তা পারছেন না।
প্রোডাকশনের কাজ আবার শুরু করার চেষ্টা করছে হলিউড। তার জন্য চলছে পরিকল্পনা। পরিকল্পনাও বদলাচ্ছে প্রতিদিন ও প্রতি সপ্তাহে। ডেভিড ম্যানডেল মনে করেন, শুটিং শুরু হতে আরো বহু দেরী। নতুন পরিবেশে কাজ করার জন্য শিল্পীদের প্রয়োজন নতুন কোরিওগ্রাফি টিম।
তিনি আরও বলেন, শিডিউলের কী হবে তা এখনও ধারণার বাইরে। মানুষ কীভাবে আসবে, দিন কীভাবে যাবে, কাজ কীভাবে হবে, জনবহুল দৃশ্যগুলো কীভাবে ধারণ করা হবে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এমনও হতে পারে জনবহুল দৃশ্যগুলোতে স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করা হবে।
ভায়াকমের সিইও বব বাকিস মনে করেন, নানা ধরনের প্রোডাকশনের কাজ আলাদা আলাদা ভাবে করা হলে পরিবেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে। তবে সেটারও কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে।
অভিনেতা টিম মেডোস মনে করেন, প্রোডাকশনের কাজ যত কম খরচে, কম আয়োজনে ও অল্প মানুষ নিয়ে করা হবে, তত ভালো। খুব বেশি লোক সমাগমের প্রয়োজন নেই।
বড় কোনো সিনেমা অথবা টিভি শো তৈরি করতে সবসময়ে প্রচুর খরচ করতে হয়েছে। কিন্তু করোনাকালের পরে পৃথিবী হয়তো আরও বেশি খরুচে হয়ে যাবে। শুধু যে মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভসের খরচ বাড়বে তাই নয়, অভিনয় শিল্পী ও কলাকুশলীদের সবাইকে একসঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। এতে তাদের পেছনে খরচ হবে। টেকনোলজির ব্যবহারও বাড়বে। স্পেশাল ইফেক্টের পেছনে খরচ করতে হবে প্রচুর অর্থ। দৃশ্য থেকে সামাজিক দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে স্পেশাল ইফেক্টের সাহায্যে। পিপিই বাদ দিতে হবে দৃশ্য থেকে। এসব কাজ করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে। সব মিলিয়ে খরচ বেড়ে যাবে অনেক।
ম্যানডেল মনে করেন, কম বাজেটে সিনেমা নির্মাণ করা কঠিন হয়ে যাবে। ২০ দিনে ছবির শুটিং শেষ করা হয়তো আর সম্ভব হবে না। এগুলো কীভাবে সমাধান করা হবে, এসবের কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। ♦