স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত হাসপাতালে গ্রামীণফোনের পিপিই বিতরণ শুরু

0

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক: করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারসহ বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি সংস্থা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গ্রামীণফোন পিপিই বিতরণ শুরু করেছে।
প্রথম ধাপে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে গ্রামীণফোন ছয় হাজার পিচ বা ইউনিট সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক পোশাক, ল্যাটেক্সগ্লাভ ও গগল সরবরাহ করে।

নির্বাচিত হাসপাতালের সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য মেডিকেল গ্রেড-মানসম্পন্ন পেশাদার পিপিই (সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক পোশাক, এন৯৫ মাস্ক, গ্লাভ ও গগল) সরবরাহ শুরু করেছে গ্রামীণফোন।
কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, এ অবস্থায় পিপিই সরবরাহ স্বাস্থ্যসেবাদাতাদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার সময় আক্রান্ত হওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখার মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণ হ্রাসে সাহায্য করবে।

এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারির এ সময়ে, সম্মুখসারির স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে পিপিই সরবরাহ প্রয়োজন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরাই সম্মুখ সারিতে রয়েছে। এ মহামারির সময়, সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদানে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ সঙ্কটে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবার সম্মিলিত প্রয়াস অত্যন্ত জরুরি এবং বেসরকারি ও সরকারি খাতকে তাদের করণীয়গুলো পালন করতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্যসেবা দাতাদের আত্মবিশ্বাসের সাথে সেবা দেয়ার জন্য সঠিক ও গুণগতমানের পণ্য আমদানিতে সহায়তা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানাই। আজ আমরা প্রথম ধাপের উপকরণ বিতরণ শুরু করেছি এবং ক্রমান্বয়ে বাকিধাপগুলোও সম্পন্ন করবো।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ মহামারীর প্রভাবে আমরা এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। এ অবস্থায় মানসম্পন্ন মেডিকেল গ্রেড পিপিই ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। এ মহামারি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জামের সুযোগ নিশ্চিত ও বাংলাদেশের সরকারের সাথে সরকারি ও বেসরকারি খাত নিরলস কাজ করছে।

Share.