দেশের ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয় (শাবিপ্রবি) শীর্ষে। এমনটাই জানিয়েছেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) তত্ত্বাবধানে দুই দিনব্যাপী সব দফতর প্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত একটি কর্মশালায় এ তথ্য জানান তিনি।
আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে এসময় প্রতিষ্ঠানটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শাবির অ্যাকাউন্টস স্বচ্ছতার দিক দিয়ে প্রথম।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাইকে একটি নিয়মের মধ্যে চলতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “শিক্ষকদের জন্য নতুন নীতিমালা চালু হচ্ছে। প্রশাসনিক কাজ ভালোভাবে করতে গুণগতমানসম্পন্ন কর্মকর্তা নিচ্ছি। কর্মকর্তাদের জন্য একটি করে কম্পিউটারের ব্যবস্থা করে তাদেরকে কম্পিউটার ট্রেনিং দেয়া হবে।”
তিনি বলেন, শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের জন্য ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) আমাদের সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর টিচিং অ্যান্ড লার্নিংয়ের (সিইটিএল) অনুমোদন দিয়েছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্র হবে শাবি। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট আসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের মান ও দক্ষতার ওপর।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
দীর্ঘ সংগ্রাম ও অবিচ্ছিন্ন আন্দোলনের পর ১৯৮৬ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিন বিভাগ: পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও অর্থনীতি নিয়ে যাত্রা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতে ১৩ শিক্ষক ও ২০৫ শিক্ষার্থী ছিল। বর্তমানে ৭ অনুষদ, ২৭ বিভাগ ও দুইটি ইনস্টিটিউটে রয়েছে। ৪৮৭ শিক্ষক ও ৯২৬২ শিক্ষার্থীর পদচারণে মুখর এ ক্যাম্পাস। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৮ মেডিকেল কলেজের ২৮৪৪ শিক্ষার্থী যুক্ত রয়েছে।
শাবিপ্রবি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে সমন্বিত সমমানের কোর্স চালু করে। বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৬-৯৭ সেশনে সেমিস্টার সিস্টেম চালু করে।
শাবিপ্রবির সব শিক্ষার্থীকে দুইটি ভাষা কোর্স সম্পন্ন করতে হয়- বাংলা ও ইংরেজী। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য দুইটি কম্পিউটার কোর্স, একটি কম্পিউটার শিক্ষার জন্য ও অন্যটি কম্পিউটার ভাষা শেখার জন্য।
শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে একটি গবেষণাভিত্তিক পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। বাংলা ও ইংরেজীতে দুইটি গবেষণা পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ হয়। ♦