পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের শেয়ার আগামী রোববার থেকে স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির লভ্যাংশ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারিত হয়েছে আগামী ২৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
তাই আগামী রবি ও সোমবার কোম্পানির শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। রেকর্ড ডেটের দিন শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।
রেকর্ড ডেট শেষ হওয়ার পরদিন থেকে শেয়ার লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৬ টাকা সাত পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫৯ টাকা ৯০ পয়সায়।
এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১১৪ টাকা ৬৫ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৫ মার্চ বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ জানুয়ারি।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ছয় টাকা তিন পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ছয় টাকা ৫৪ পয়সা।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৬৫ টাকা ৯৩ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির এনওসিএফপিএস হয়েছে ৩৭ টাকা ৩১ পয়সা।
এর আগে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫০ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১৫ টাকা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৩০৭ কোটি ৯১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪১ টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৭০ কোটি টাকা কম।
কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৮ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪৯০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ৮২ লাখ ১৬ হাজার ১০৮টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৫৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩২ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে আট দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ♦
