সৌদি আরব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট প্রবেশের ক্ষেত্রে জারি করা সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে আজ রোববার ৩ ডিসেম্বর বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, দুই সপ্তাহের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার পর আকাশ, ভূমি ও সমুদ্রপথে সৌদি আরবে প্রবেশ আজ থেকে চালু হয়েছে। স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রবেশ চালু হলেও কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকবে। যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ যেসব দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে—সেসব দেশ থেকে সৌদির নাগরিক নন এমন যাঁরা সৌদি আরবে আসবেন, তাঁদের অন্তত ১৪ দিন অন্য দেশে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আর করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে—এমন দেশ থেকে সৌদির যেসব নাগরিক মানবিক বা জরুরি প্রয়োজনে দেশে আসবেন, তাঁদের ১৪ দিন নিজ ঘরে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত ও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ ডিসেম্বর সৌদি আরব কোনো ব্যতিক্রম ছাড়া সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসহ সড়ক ও সমুদ্রপথ সাময়িক বন্ধ করে দেয়।
প্রথমে এক সপ্তাহের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। পরে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয় এর মেয়াদ।
করোনার নতুন ধরন প্রথম শনাক্ত হয় যুক্তরাজ্যে। গত অক্টোবর থেকে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ধরনটি শনাক্তের পর ১৪ ডিসেম্বর এ-সংক্রান্ত তথ্য জানায় যুক্তরাজ্য। পরে যুক্তরাজ্যের বাইরে আরও অনেক দেশে নতুন ধরন শনাক্ত হয়। এর জেরে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
করোনার নতুন ধরন আগের ধরনের তুলনায় দ্রুত ও বেশি ছড়ায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। করোনার আগের ধরনের তুলনায় নতুন ধরনের ছড়ানোর ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে সৌদি আরবে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় দেশটিতে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মারা গেছেন ৬ হাজার ২৩০ জন।
গতকাল দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সৌদিতে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১০১ জন। এর মধ্যে দুটি এলাকায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি। সৌদিতে ৯ মাসের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভালো অবস্থা। ♦