আকাশের মায়ায় মেঘেদের ছায়ায়
ফুলে ফসলে রোদে জোসনায়
প্রজাপতি রঙে পাখিদের গানে
সুখে দুখে এই জল এই মাটি
সুন্দর পৃথিবী মিলে মিশে থাকি
সুন্দর পৃথিবী ভালবেসে বাঁচি
পাহাড়ে সমতলে সাগরে নোনা জলে
সবুজে শ্যমলে ধুধু মরুভূমে
মেঘলা সকালে রোদেলা দিনে
জীবনে প্রতি ক্ষণে এই জল এই মাটি
সুন্দর পৃথিবী মিলে মিশে থাকি
সুন্দর পৃথিবী ভালবেসে বাঁচি
পাখির কলতানে কোয়াশা ঘেরা ভোরে
নদীর জলে ভেসে মাছের খেলা দেখে
ঝিকিমিকি রোদে বালুকাবেলায়
জীবনে মরনে এই জল এই মাটি
সুন্দর পৃথিবী মিলে মিশে থাকি
সুন্দর পৃথিবী ভালবেসে বাঁচি
এই গানের মূল কথা হলো, সুন্দর পৃথিবীতে মিলেমিশে থাকি, সুন্দর পৃথিবীতে ভালবেসে বাঁচি। আসলেই তাই।
বর্তমান সময়ের কথাই ধরুন, সারা দুনিয়া করোনা মহামারীতে কাঁপছে। যখন মানুষ নিজের ঘরে বন্দী, যখন অচেনা অদৃশ্য আতংকে ভীত-শংকিত মানবজাতি, ঠিক তখন গাছের পাতাটি আরো সবুজ, আকাশের রঙ আরো নির্মল, পাখির কণ্ঠ তখন আরো সুরেলা, পানিতে মাছ নির্ভয় হয়ে উঠছে। ঠিক এমনই এক সময়ে বুনন হয় এ গানটির কথামালা। মানুষ, প্রকৃতি ও দুনিয়ার যা কিছু সবাই মিলেমিশে ভালবেসে বাসযোগ্য পৃথিবী বি-নির্মাণের আহ্বান নিয়ে এ গান।
ঘরবন্দী দিনগুলিতে লিখে ফেললাম মানুষ ও প্রকৃতির ভালবাসায় বেঁচে থাকার গান। আমার ছোট ছেলে রিদম, গানের প্রতি তার দারুণ আগ্রহ রয়েছে। বাবা-ছেলে দুজনে মিলে গানটির সুর করেছি।
গল্পোচ্ছলে একদিন চিত্র পরিচালক আসিফ ইসলামের সঙ্গে গানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি গানের কথা শুনে অডিও ও ডিজিওলাইজেশনের জন্য উৎসাহ দিলেন। কাজটি করার জন্য যুক্ত হলেন আমাদের সঙ্গে। তার সুবাদে পরিচয় হয় তরুণ গায়ক ও সংগীত পরিচালক সৈয়দ নাফিসের সঙ্গে।
আমার ছোট্ট শিল্পীটির পুরো নাম বিন ইয়ামিন খান রিদম, যার কথা বলা ও গান গাইতে শেখার শুরু একইসঙ্গে। বয়স মাত্র দশ। তিন বছর বয়সে গানে হাতেখড়ি হয় তার। নিয়মিত শিখছে গুণী শিল্পী ও গানের শিক্ষক পুজান দাশের কাছে। মঞ্চে প্রথম গান গায় পাঁচ বছর বয়সে। ওই সময় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সাইদুজ্জামান রওশনের হাত ধরে প্রথম আলো বন্ধুসভার অনুষ্ঠানে গানটি গায়। পড়ালেখার পাশাপাশি নিয়মিত গানের চর্চা করছে।
গানের ভূবনে আনুষ্ঠানিক যাত্রা আামর লেখা এ মৌলিক গানের মাধ্যমে। রিদম বলেছে, বাবার উৎসাহে দুই তিন দিনের মধ্যে আমি পুরো গান তুলে ফেলি। গান তোলা, রেকর্ডিং ও শ্যুটিং সবকিছু মিলে দারুণ কিছু একটা হলো জীবনে, আমি অনেক খুশি। এটা আমার প্রথম মৌলিক গান ও মিউজিক ভিডিও। গান করতে আমি খুব ভালবাসি।
সংগীত পরিচালক সৈয়দ নাফিস বলেন, গান বানানোর অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা সব সময়ই। তাছাড়া নতুন কিছু পাওয়ার আশা তো থাকেই। সুরের এই খেলায় একটু রহস্যময়তাও থাকে।
চিত্রগ্রাহক ও পরিচালক আসিফ ইসলাম জানালেন, প্রকৃতি নিয়ে তো এখন খুব একটা গান হয় না। নন্দন ভাইয়ের লেখা গানে কন্ঠ দিয়েছে তার ছেলে ১০ বছরের রিদম। এতো ছোট বয়সে প্রফেশনালি গানটা নিজে ধারণ করে বেশ দরদ দিয়ে রিদম গেয়েছে। আমি মূলত গানটির কথা, বিষয়, রিদমের বয়স ও চমৎকার গায়কী বিবেচনা করে এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হই । বিশ্বাস করি, সব দর্শক ও শ্রোতা গানটি দারুণ উপভোগ করবেন ।
উল্লেখ্য,অক্টোবরের শুরুতে কক্সবাজারের ইনানী ও স্যুয়াইন খালীতে গানটির শুটিং হয়।
-জান্নাতুল বাকের নন্দন
(”সুন্দর পৃথিবী” গানটির গীতিকার) ♦