২০২২ সালে সিঙ্গাপুরে বন্ধ হচ্ছে বাইন্যান্সের লেনদেন

0

সিঙ্গাপুরে বাইন্যান্সের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। আগামী বছর থেকে বাইন্যান্সে লেনদেন করা যাবে না বলে জানিয়েছে নগর রাষ্ট্রটির মানিটরি কর্তৃপক্ষ (এমএএস)। খবর: দি বিজনেস টাইমস।

গতকাল এক বিবৃতিতে এমএএস জানিয়েছে, আজ থেকে দুই মাসের মাথায় বন্ধ করা হবে বাইন্যান্স। ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে বাইন্যান্সের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার কথা বলেছে বাইন্যান্স কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাইন্যান্সে সব ধরণের নিবন্ধন, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের পাশাপাশি ট্রেডিং বন্ধ হয়ে যাবে। আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা তাদের বিদ্যমান সম্পদ ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা করতে পারবেন। এরপর সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে।

সিঙ্গাপুরে বাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড টেং বলেছেন, “বাইন্যান্স বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বন্ধ করার আগে আমরা ব্যবহারকারীদের বিদ্যমান সম্পদকে অন্য ওয়ালেট বা অন্যান্য তৃতীয় পক্ষের পরিষেবাগুলোয় স্থানান্তরে করতে চাই।’’

তিনি আরও বলেন, আমরা সিঙ্গাপুরের মানিটরি কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ এবং ভবিষ্যতের আবার একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদী।

লেনদেনের হিসাবে বাইন্যান্স বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জগুলোর একটি। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি সিঙ্গাপুরের নীতিনির্ধারক ও বাজার নিয়ন্ত্রকদের সমালোচনার মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে।

তবে কেবল বাইন্যান্স যে নীতিনির্ধারকদের ‘চক্ষুশূল’ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন নয়। পুরো বিশ্বেই বাজার নিয়ন্ত্রক ও নীতিনির্ধারকদেন জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিজিটাল মুদ্রাগুলো। দামের ওঠা নামার সুযোগ নিয়ে বড় মুনাফা লাভের আশায় বিনিয়োগকারীদের হুড়োহুড়িতে আরও অস্থিতিশীল হয়েছে এ বাজার। চলতি বছর বড় ধরণের উত্থান-পতন হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে।

বৈশ্বিক নীতিনির্ধারকদের আশঙ্কা ব্যক্তিমালিকানাধীন ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বাড়লে বৈশ্বিক আর্থিক ও লেনদেন ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন তারা। আর্থিক অপরাধ ও বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন তারা। এ কারণে দেশটি থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Share.