ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু ৩ জুলাই। নতুন শিক্ষাক্রমের সামষ্টিক মূল্যায়ন চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। এরই মধ্যে সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে।
ষান্মাসিকে বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন কার্যক্রম নির্ধারিত দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে হবে। এ ছাড়া মূল্যায়ন পরিচালনায় সীমিত পরিমাণে পরিচালনা ফি নেওয়াসহ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) মূল চিঠি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করেছে।
সাধারণ নির্দেশনা
মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরুর আগে সম্পাদিত সব বিষয়ের শিখন অভিজ্ঞতার পারদর্শিতার সব নির্দেশক নৈপুণ্য অ্যাপে ইনপুট দিতে হবে।
মূল্যায়ন কার্যক্রম চলাকালে (৩ থেকে ৩০ জুলাই) মূল্যায়ন কার্যক্রম ব্যতীত ষষ্ঠ থেকে নবমে কোনো শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।
পাঠানো সময়সূচি অনুসারে নির্ধারিত দিনে একটি বিষয়ের মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। একাধিক দিনে করা যাবে না।
বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন কার্যক্রম সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে হবে। তবে মূল্যায়ন কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে একটি মধ্যবর্তী বিরতি দেওয়া যেতে পারে।
মূল্যায়ন কার্যক্রমে হাতে-কলমে কাজ ও কার্যক্রমভিত্তিক লিখিত অংশে দুই ধরনের কার্যক্রম রয়েছে। হাতে-কলমে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও লিখিত অংশের জন্য প্রয়োজনীয় খাতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পোস্টার তৈরির জন্য সাদা বা রঙিন কাগজ, সাইন পেন, কাঁচি, আঠা বা গাম ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে।
উপকরণের উদাহরণ অংশে বলা হয়েছে, উপকরণ সরবরাহের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কোনো উপকরণই যেন ব্যয়বহুল না হয়। রিসাইকেল, রিইউজ ও আপসাইকেল উপকরণ ব্যবহার করতে হবে।
অভিভাবক বা শিক্ষার্থীকে উপকরণ সরবরাহের জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া যাবে না।
মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছ থেকে সীমিত পরিমাণে মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা ফি নেওয়া যেতে পারে।
লিখিত অংশে, ১৬ পাতার খাতা, প্রয়োজনে অতিরিক্ত পাতা সরবরাহ করতে হবে।
সরবরাহ করা মূল্যায়নপত্র থেকে শিক্ষার্থীর নির্দেশনা ও মূল্যায়ন বা প্রশ্নপত্র অংশটি ফটোকপি করে শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করতে হবে। ♦