আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন আজিজুল্লাহ ফজলি। তালেবান আফগানিস্তানের রাজনৈতিক দখল নেয়ার পর দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে এ পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন।
এসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তালেবানের বৈঠকের পর ফজলিকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এসিবি চেয়ারম্যান হিসেবে ফজলি এর আগেও এক মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পদে ছিলেন তিনি।
ফজলি প্রায় দুই দশক ধরে আফগানিস্তানের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত। দেশটিতে যারা ক্রিকেটকে প্রথম জনপ্রিয় করেছিলেন ফজলি তাদের একজন।
এর আগে এসিবির ভাইস-চেয়ারম্যান এবং উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফজলি। দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি।
২০১৯ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে আফগানিস্তান সবার নিচে থেকে শেষ করায় তাকে সরিয়ে ফারহান ইউসুফজাইকে চেয়ারম্যান করা হয়।
চেয়ারম্যান হওয়ার পর ফজলির প্রথম কাজ পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কায় আসন্ন ওয়ানডে সিরিজটি ভালোভাবে শুরু করা। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নানা সংকটে সিরিজটি না হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে।
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর কাবুল বিমানবন্দর থেকে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল এখনও শুরু হয়নি। সে ক্ষেত্রে এসিবির সম্ভাব্য পরিকল্পনা হচ্ছে দেশটির খেলোয়াড়দের সড়কপথে পাকিস্তানে পাঠানো। সেখান থেকে বিমানে তাদের শ্রীলঙ্কা পাঠানো।
এছাড়া করোনা সংক্রমণ বাড়ায় শ্রীলঙ্কাজুড়ে দেয়া ১০ দিনের লকডাউনও সিরিজটিকে প্রভাবিত করতে পারে।
তালেবান কাবুল দখল করে নেয়ার পর আফগানিস্তানের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো ক্রিকেটকে ঘিরেও দেখা দেয় শঙ্কা। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের এ উঠতি দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন অনেকে।
ভক্ত-সমর্থক ও বিশ্লেষকদের আশ্বস্ত করে পরে এসিবি জানায়, সূচি অনুযায়ী চলবে রাশিদ খান-মুজিবুরদের প্রস্তুতি ও সফর।
আফগানিস্তানের জাতীয় দল ও ঘরোয়া ক্রিকেটাররা অনুশীলন করেন কাবুলে। তবে সেখানে ক্রিকেট খেলা নিয়ে কখনো ঝামেলা ছিল না- এমন উল্লেখ করে এসিবির প্রধান নির্বাহী হামিদ শিনওয়ারি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছিলেন, ‘আফগানিস্তানে ক্রিকেট ঠিকমতো চলছে। সেখানে আমাদের জন্য সমর্থন আছে। সব কিছু সূচি অনুযায়ী হচ্ছে।’
তালেবানও ক্রিকেট ভালোবাসে এমনটা জানিয়ে শিনওয়ারি বলেন, যে কারণে ক্রিকেটের উন্নয়নের গতি থামেনি। ♦