শ্রীলঙ্কায় বাড়ছে না জরুরি অবস্থার মেয়াদ

0

শ্রীলঙ্কায় চলমান জরুরি অবস্থার মেয়াদ চলতি সপ্তাহের পর আর বাড়ছে না বলে জানিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট দপ্তর। বিক্ষোভ স্তিমিত হয়ে আসায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় গত মাসের মাঝামাঝি জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতার পর চরম অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভ স্তিমিত হয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানায়, জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না।

জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকটের কারণে কয়েক মাসের তুমুল বিক্ষোভ ও সহিংসতার মধ্যে পূর্বসূরি গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালানোর পর গত ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কার আইনপ্রণেতাদের ভোটে রনিল বিক্রমাসিংহে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

এর আগে বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট থাকাকালে গত ১৮ জুলাই জরুরি অবস্থা জারি করেন। ছয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন বিক্রমাসিংহে। চরম অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি চেয়ে লাখো বিক্ষোভকারী বিভিন্ন সরকারি ভবনে হানা দিলে তাকে ওই জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়েছিল।

চলতি সপ্তাহে জরুরি অবস্থা শেষ হচ্ছে বলে জানিয়ে রাজধানী কলম্বোয় এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে এ পরিস্থিতির কথা জানান।

তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বেলআউটের আলোচনা এগিয়ে নিতে শান্তিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তাও চেয়েছেন। সংস্থার কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলার পাওয়ার আশায় দেশটি এখন তাদের অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণ পুনর্গঠনের কথা ভাবছে। সার্বভৌম ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতা দ্বীপদেশটিকে এরই মধ্যে ঋণখেলাপিতে পরিণত করেছে।

শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখন ৫২ বিলিয়ন (পাঁচ হাজার ২০০ কোটি) ডলার। গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা ঘোষণা দেয়, তারা আপাতত ঋণ শোধ করতে পারবে না। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমবারের মতো দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে। এরপর নতুন ঋণ পেতে তৎপর হয় দেশটির সরকার।

জুন-জুলাইয়ে কিছু কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতার পর গত সোমবার নিউইয়র্কভিত্তিক এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল শ্রীলঙ্কার রেটিং ‘ডি’-তে নামিয়ে এনেছে। ঋণখেলাপিদের ক্ষেত্রে এস অ্যান্ড পি’র রেটিং ‘ডি’ দেয়া হয়। 

Share.