শেয়ারবাজারে আসছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ

0

বাংলাদেশ পাবলিক ইস্যু বিধি-২০১৫ অনুযায়ী বুক বিল্ডিং মেথডের মাধ্যমে ইনেশিয়াল পাবলিক অফারিংয়ে (আইপিও) যাত্রা করলো এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। গত সন্ধ্যায় রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে একটি রোড শোতে এ যাত্রা করে প্রতিষ্ঠানটি।

রোড শোয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদ, চেয়ারম্যান মিসেস তাহমিনা বেগম, ডিরেক্টর মাকসুদ আহমেদ, ডিরেক্টর সাদিয়া আহমেদ, কোম্পানীর সতন্ত্র পরিচালকরা ও কোম্পানী সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইস্যু ম্যানেজারের প্রতিনিধি, রেজিষ্টার অব ইস্যুর প্রতিনিধি, আন্ডাররাইটারসহ মার্চেন্ট ব্যাংক, ফান্ড ম্যানেজার, বন্ড ম্যানেজার, ইনসুরেন্স কোম্পানী, ডিএসই-সিএসই ট্রেক হোল্ডার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এনবিএফআই ও পাবলিক ইস্যু আইন-২০১৫ আনুসারের অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

মার্কেট শেয়ার অর্জনের জন্য ও বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীতে পরিণত করতে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড বুক বিল্ডিং মেথডের মাধ্যমে বিএসইসি’র অনুমোদন সাপেক্ষে ৯৫ কোটি টাকার জন্য আইপিওতে অংশ নিয়েছে।

আইপিওতে ব্যয়ের পর প্রতিষ্ঠানটি বাকি টাকা দিয়ে নতুন ফ্যাক্টরি নির্মাণ, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ও লোন পরিশোধে ব্যয় করবে।

অনুষ্ঠানে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদ বলেন, “সফলভাবে আইপিও সস্পূর্ণের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্খিত উৎপাদন ক্ষমতা এবং মার্কেট শেয়ার অর্জন করতে পারবো। প্রোজেক্টেড ফিনেনসিয়াল স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, ২০২৫ এ আমাদের সেলস রেভিনিউ হবে ২৮৭.৬৩ কোটি করের পর নিট মুনাফা দাড়াঁবে ৭৩.৯২ কোটি টাকা এবং উৎপাদনক্ষমতা বেড়ে হবে বছরে ২.৮৭ কোটি পিস। অর্থাৎ সেলস রেভিনিউ বর্তমান সেলস রেভিনিউ থেকে ৯৮% বাড়বে এবং পরিশোধের সময়কাল হবে ২.৫ বছর। আমরা বাংলাদেশের মার্কেটের চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতেও তখন রপ্তানি করতে পারবো।”

”এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজে বিনিয়োগ করার এখনই সেরা সময় এবং আমরা আমাদের শেয়ার হোল্ডারদের সঠিক রিটার্ন দিতে সক্ষম হব এবং পুঁজিবাজারে আমাদের পরবর্তী মাইলফলক শুরু করতে পারব।”

গত কয়েক বছরে লোকাল ওষুধ কোম্পানীগুলো গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে যার ফলে বাজারের ৯০% ওষুধ লোকাল কোম্পানীগুলোর দখলে রয়েছে।

ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের ভালো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এটি ৬ বিলিয়ন ডলারের মার্কেটে পরিণত হবে।

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড
এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে।

২০২০ সালে করেনাকালে প্রতিষ্ঠানটি অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন বাজারজাত করে এবং জীবন রক্ষাকারী কিছু ওষুধ সরকারীভাবে সরবরাহ করে।

এশিয়াটিক বায়োলজিক্যাল, নন-বায়োলজিক্যাল ও স্টেরাইল প্রোডাক্ট যেমন ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ, ক্রিম, আই প্রোডাক্ট, ইনজেকশন ইত্যাদি উৎপাদন ও মার্কেটিং করে।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন গ্রুপের ৮০টি জেনেরিক বাজারে সরবরাহ করেছে এশিয়াটিক। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিহিস্টামিন, ভিটামিন মিনারেলস, অ্যান্টি আলসারেন্ট, ল্যাক্সাটিভ, স্কিন প্রোডাক্ট, আই প্রোডাক্ট, এনএসএআইডি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

বর্তমানে প্রতি বছর ৬ মিলিয়ন পিস ট্যাবলেট, ৫ মিলিয়ন পিস ক্যাপসুল, ২ মিলিয়ন পিস ইনজেকশন, ১.৫ মিলিয়ন টিউব ক্রিম, ১.৬ মিলিয়ন বোতল সিরাপ উৎপাদন করছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।

Share.