শুভ জন্মদিন চলচ্চিত্রব্যক্তিত্ব আমজাদ হোসেন ও জসিম

0

মজাদ হোসেনের পরিচালনায় সুন্দরী ও কসাই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন জসিম। আজ প্রয়াত এ দুই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের জন্মদিন। আমজাদ হোসেন জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট, আর জসিম ১৯৫০ সালে।

অভিনেতা, লেখক, গীতিকার ও পরিচালক আমজাদ হোসেনের জন্ম জামালপুরে। ১৯৬১ সালে ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে রূপালি জগতে আমজাদ হোসেনের আগমন। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন ও চলচ্চিত্র পরিচালনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।

আমজাদ পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুন নিয়ে খেলা’। পরে নয়নমনি, গোলাপী এখন ট্রেনে ও ভাত দে দিয়ে প্রশংসিত হন। তার বেশির চলচ্চিত্র স্মরণীয়। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া সাহিত্যে ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার লাভ করেন। আমজাদ হোসেন ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর মৃতু্যবরণ করেন।

আমজাদ হোসেন কর্মজীবনে ১২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ছয়টি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ছয়টি ভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

অভিনেতা, প্রযোজক ও ফাইট পরিচালক জসিমের পুরো নাম আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন। জন্ম ঢাকার নবাবগঞ্জে। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান রয়েছে। ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। এ সিনেমায় তিনি নির্মাতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হলেও পরিচিতি পান দেওয়ান নজরুল পরিচালিত ‘দোস্ত দুশমন’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের অভিনয় করে। পরে খলনায়ক থেকে নায়ক হন ‘সবুজ সাথী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।

জসিমের উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে রংবাজ, প্রতিনিধি, এক মুঠো ভাত, আসামি হাজির, মহেশখালীর বাঁকে, প্রতিজ্ঞা, ঘরের বউ, জনি, অভিযান, অশান্তি, নিষ্পাপ, লালু মাস্তান, সারেন্ডার, মাস্তান, কাজের বেটি রহিমা, কালিয়া, স্বামী কেন আসামি ইত্যাদি। জসিম ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মারা যান।

Share.