কভিড-১৯’এর কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে সব প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এরই অংশ হিসেবে গত রাতে এক নির্দেশনা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শতভাগ শিক্ষক উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি হিসেবে মাউশি থেকে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে হবে। ওয়ার্কশিট বিতরণ শতভাগ নিশ্চিতকরণ ও যাচাই করতে হবে। শিখন ঘাটতির অবস্থা ও ফিডব্যাক নিতে হবে। বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষকদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। হোম ভিজিট যাচাই করা ও শিক্ষার্থী প্রোফাইল শতভাগ হয়েছে কি না তা দেখতে হবে।
দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয় নির্ধারণের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীর বাড়ি যাওয়া ও শিক্ষার্থী যোগাযোগ রেজিস্টার যাচাই করতেও বলা হয়েছে।
এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘ওয়াশ ব্লক’ ঠিক করার জন্য দ্রুত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের আদেশ যথাযথ পালন করতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমরা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলতে সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। এর অংশ হিসেবেই কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং বিদ্যালয় খোলার সার্বিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খোলা যাবে। তা ছাড়া আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাই রয়েছে।
গত বছর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পরে দফায় দফায় তা বাড়িয়ে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। ♦