সরকার ও আন্তঃসংগঠনের বেশ কয়েকটি শর্ত মেনে ‘নিজ দায়িত্বে’ পরশু থেকে টিভি নাটকের শুটিং করতে পারবেন নির্মাতা-অভিনয়শিল্পীরা।
গতকাল বিকেলে টিভি নাটকের আন্তঃসংগঠনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে এর আগে শুটিং স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হলেও বেশ কয়েক নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীর আগ্রহ বিবেচনায় নিয়ে শর্তসাপেক্ষে সে সিদ্ধান্ত শিথিল করা হয়েছে।
নির্মাতা-অভিনয়শিল্পীদের নিজ দায়িত্বে শুটিং করতে হবে। আন্তঃসংগঠন কিংবা স্ব স্ব সংগঠন কারো কোনো দায়িত্ব বহন করবে না।
৬ শর্ত
১. আন্তঃসংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুসরণ করে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। (শুটিং বিষয়ক স্বাস্থ্যবিধির তথ্যাবলী স্ব স্ব সংগঠন থেকে সংগ্রহ করে সেই নিয়মে শুটিং করতে হবে।)
২. লকডাউনের সময় সরকারি সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমতি সংগ্রহ করে শুটিং করতে হবে। শিল্পী, কলাকুশলীরা শুটিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কোনো ধরনের কাজ নিজ দায়িত্বে সম্পন্ন করবেন। এর সাথে আন্তঃসংগঠন বা স্ব স্ব সংগঠন কোনোভাবেই সম্পৃক্ত থাকবে না।
৩. শুটিং করতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে, অথবা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে আন্তঃসংগঠন বা স্ব স্ব সংগঠন কোনো দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করবে না। সংশ্লিষ্ট প্রযোজক, পরিচালক, অভিনয়শিল্পী, চিত্রগ্রাহক, রূপসজ্জাশিল্পীসহ ইউনিটের সবার উপর এই দায় বর্তাবে।
৪. করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও আন্তঃসংগঠনের সিদ্ধান্ত ভালোভাবে অবগত হয়ে যারা শুটিং করতে আগ্রহী সেই সকল শিল্পী, কলাকুশলী, প্রযোজক স্ব স্ব সংগঠনের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক বরাবর এই মর্মে ক্ষুদে বার্তা অথবা ইমেইল পাঠাবেন যে, “আমি এই দুর্যোগে আন্তঃসংগঠনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হয়ে নিজ দায়িত্বে স্বেচ্ছায় শুটিংয়ে অংশগ্রহণ করছি। আমি সংকটে নিপতিত হলে এর দায়ভার সম্পূর্ণ আমার।”
৫. সরকার পরিস্থিতি বিবেচনায় যে ঘোষণা দেবেন সকলকে সেটা মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে। অথবা কাজ বন্ধ রাখার পরিস্থিতি উদ্ভব হলে তা বন্ধ করতে হবে।
৬. আন্তঃসংগঠন এই সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় যে কোন সময় বাতিল করতে পারেন। ♦