লেনদেনে প্রকৌশল খাতের দাপট অব্যাহত

0

গত দুই কার্যদিবসের মতো আজও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকৌশল খাতের শেয়ারে ঝোঁক দেখা গেছে। মূলত ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারে খাত বদল করে বিনিয়োগ করতে দেখা যায়। এ কারণে বিভিন্ন সময় ভিন্ন খাতের শেয়ারে ঝুঁকেন বিনিয়োগকারীরা। প্রকৌশল খাতের বেলায় এমনটি ঘটছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

আজ বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল প্রকৌশল খাতের শেয়ারে। সকাল থেকে এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা ছিল বেশি। এ কারণে দর বাড়তে থাকে।

দিন শেষে খাতটিতে তালিকাভুক্ত ৪২ কোম্পানির মধ্য দর বাড়তে দেখা যায় ৩২টির। এর জের ধরে মোট লেনদেনে সবার শীর্ষে চলে আসে এ খাত।

আজ দিন শেষে মোট লেনদেনে প্রকৌশল খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১৭ শতাংশ।

পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ।

এর পরের অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। আজকের লেনদেনে এ খাতের প্রায় ১১ শতাংশ অবদান ছিল । তবে ব্যাংক খাতের বেশিরভাগ কোম্পানিতে ছিল শেয়ার বিক্রির চাপ। মূলত কয়েকদিন ব্যাংক শেয়ারের দর বাড়ার কারণে যারা সম্প্রতি বিনিয়োগ করেছেন তারা মুনাফায় রয়েছেন। মূলত তারাই আজ ছিলেন ক্রেতার ভূমিকায়।

লেনদেনে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বিবিধ খাত। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান চোখে পড়ে ১০ শতাংশের কিছু বেশি।

আজও পুঁজিবাজারে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা দেখা গেছে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক বৃদ্ধি পায় ৬০ পয়েন্ট বা প্রায় এক শতাংশ। লেনদেনে শেষে সূচকের অবস্থান হয়েছে ছয় হাজার ৫৯৬ পয়েন্টে।

একই ভাবে লেনদেনে হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদরও বাড়তে দেখা যায়। আজ লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্য দর বাড়ে ২৪২টির, কমে ১০৩টির এবং ২৯টির দর অপরিবর্তিত থাকে।

আজ দিন শেষে ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৫১১ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়ালফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্য ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৩৫ কোটি টাকা।

Share.