লেনদেনের ৩৮ শতাংশ তিন খাতের

0

মাসের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে ২৭ পয়েন্ট বেড়ে সূচক স্থির হয়েছে সাত হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে।

তবে সূচক বাড়লেও হ্রাস পেতে দেখা গেছে, সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর হ্রাস পেতে দেখা যায় ২১৬টির। একইভাবে ১০৯টি দর বাড়ে এবং অপরিবর্তিত থাকে ৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর।

গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনের ৩৮ শতাংশই ছিল তিন খাতের- ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র এবং বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত। এর মধ্যে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। এটি মোট লেনদেনে ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়।

পরের অবস্থানে ছিল বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত। এ খাতটি লেনদেনে প্রায় ১২ শতাংশ অবদান রাখে। একইভাবে লেনদেনে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ অবদান রেখে তৃতীয় অবস্থানে থাকে বস্ত্র খাত।

এছাড়া লেনদেনে সিমেন্ট খাত ৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ ও বিমা খাত মোট লেনদেনে আট দশমিক ৫১ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়।

অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৪৩৯ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল ৪৩ কোটি টাকার বেশি। এ মার্কেটে গতকাল ৪১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার ২১৮টি শেয়ার ৮২ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৪৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এসব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয় কোটি ৫৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার ওরিয়ন ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে এমজিএলবিডির।

Share.