লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো, খাতে বিমা

0

য়েকদিন আগে কম দরের শেয়ারের চাহিদা বেশি থাকলেও সম্প্রতি পোর্টফলিওতে পরিবর্তন আনছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা তুলনামূলক বেশিদরের শেয়ারে ঝুঁকছেন। এ তালিকায় এগিয়ে রয়েছে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দর রয়েছে এমন শেয়ার।

আজকের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সকাল থেকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল এ ধরনের শেয়ার। ফলে এসব শেয়ারের দরও বাড়তে থাকতে। গতকাল প্রায় ৫৫ শতাংশ বিনিয়োগকারীর পছন্দের তালিকায় ছিল এমন শেয়ার।

আজও মোট লেনদেনে এগিয়ে ছিল বিমা খাত। বাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অন্য ভালোমানের কোম্পানির শেয়ার চাহিদা থাকলেও বেশি দাপট ছিল বিমার। দিন শেষে মোট লেনদেনে বিমা কোম্পানির অবদান দেখা যায় প্রায় ৩২ শতাংশ। এরপর ছিল আর্থিক খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এখাতের অবদান দেখা যায় ১২ শতাংশের বেশি। এছাড়া লেনদেনে, ব্যাংক, বিবিধ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও টেলিকমিউনিকেশন খাত উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।

আজ উর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। দিন শেষে ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকের অবস্থান হয় পাঁচ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে। সূচকের পাশাপাশি বাড়ে লেনদেনও। দিন শেষে ডিএসইতে ৬৯৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়।

আজ ডিএসইর ব্লক মার্কেটে ১৮টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়। কোম্পানিগুলোর ৩০ লাখ ১৯ হাজার ১৬০টি শেয়ার ৪২ বার হাত বদল হয়।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে বিডি ফাইন্যান্সের।

এছাড়া আরডি ফুডের ৭২ লাখ ৮২ হাজার টাকা, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৬৫ লাখ টাকা ও রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের ৪৩ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। জিবিবি পাওয়ারের ২৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ডিবিএইচের ৫ লাখ ৮ হাজার টাকা, কোহিনুর কেমিক্যালের ৭ লাখ ১২ হাজার টাকা ও এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ইনডেক্স এগ্রোর ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৫ লাখ টাকা ও পাওয়ার গ্রীডের ৬ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

একইভাবে রিংশাইনের ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ৫ লাখ ১১ হাজার টাকার, রানার অটোমোবাইলসের ৪১ লাখ ২৭ হাজার টাকার ও সী পার্লের ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার লেনদেন হতে দেখা যায়।

বেক্সিমকো
১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বেক্সিমকো। বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে এর লেনদেন হচ্ছে।

এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ২৪৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫১ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৩৩ পয়সা।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৩ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৮৩ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছিল ১৪২ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

Share.