আগামীকাল থেকে লকডাউন শুরু হলে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে কি না, তা নির্ভর করছে ব্যাংকের ওপর। সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউনের বিষয়ে বক্তব্য আসার পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে এ ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজার চালু থাকবে। তবে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দিতে হবে ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে।
কভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার থেকে জনসমাগম কমিয়ে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয় সরকার। তবে গতকাল শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন এক সপ্তাহ লকডাউনের সিদ্ধান্ত এসেছে। এ সময় কী কী খোলা থাকবে, কীভাবে খোলা থাকবে, সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরে জানাবে। সাপ্তাহিক ছুটির দ্বিতীয় দিনে এই বক্তব্য আসার পর অনেক কিছু এখনও অস্পষ্ট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহের লকডাউনে ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকবে, নাকি খোলা থাকবে; খোলা থাকলেও কতক্ষণ-কীভাবে লেনদেন হবে-এ সব বিষয়ে জানা যাবে রোববার (আজ)।
এক বার্তায় দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, ‘কভিড-১৯ মহামারিকালসহ যে কোনো সময় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারের সকল লেনদেন চালু থাকবে।’
বিএসইসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘অলরেডি মেসেজ একটি পেয়েছেন ডিএসই ও সিএসই থেকে। আমরা চাচ্ছি এই সময়টায় মানুষ ব্রেকারেজ হাউজে না এসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন করুক। অনলাইনে লেনদেন করবে, ফোনে অর্ডার দেবে, নয় মোবাইল অ্যাপ ইউজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা একটু ভালো করে বলুন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, আমরা মার্কেট খোলা রাখব। ব্যাংক থাকলে লেনদেন চালু থাকবে।’
ওই ১৮ দফা নির্দেশনা জারির পর পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধের গুজব শুরু হয়। তখনও বিএসইসি ও ডিএসই থেকে ব্যাংক চালু থাকলে পুঁজিবাজার চালু থাকার কথা জানানো হয়।
তবে বিএসইসি চেয়ারম্যান আগে জানিয়েছিলেন, করোনাকালে পুঁজিবাজারের লেনদেন আর বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। বরং এই সময়ে কীভাবে লেনদেন বাড়ানো যায় সে পরিকল্পনা করছে কমিশন।
গত বছর করোনা সংক্রমণ ধরার পড়ার পর পুঁজিবাজারে ধসের এক পর্যায়ে লেনদেন স্থগিত করে দেয়া হয়। ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি শুরু হলে ব্যাংক চালু থাকলেও বন্ধ থাকে পুঁজিবাজার। লেনদেন স্থগিত হওয়ায় বিপদে পড়ে মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার বিনিয়োগকারীরা। কারণ শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ থাকলেও দিন হিসেবে সুদ যোগ হতে থাকে। ♦