একজন ডায়াবেটিস রোগী সুস্থভাবে সব রোজা রাখতে চাইলে অবশ্যই নিয়মিত গ্লুকোজ (সুগার/চিনি) পরীক্ষার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
যাঁরা ইনসুলিন বা এমন ওষুধ নিচ্ছেন, তাঁদের জন্য নিয়মিত গ্লুকোজ পরীক্ষা খুব জরুরি।
এখন ডায়াবেটিস রোগী সহজে বাসায় গ্লুকোমিটার দিয়ে এ পরীক্ষা করতে পারেন।
রক্তে চিনির মাত্রা কমে গেলে তাকে বলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া। এতে রোগী অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন। দীর্ঘক্ষণ চিনির মাত্রা কমে গিয়ে স্থায়ী স্নায়ুবৈকল্য হতে পারে। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
চিনির মাত্রা কমে গেলে সাধারণত শুরুতে শরীরে অস্থিরতা তৈরি হয়। ক্ষুধার অনুভূতি, বুক ধড়ফড়ানি, মাথাব্যথা, মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটা, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি উপসর্গের পাশাপাশি খিঁচুনি পর্যন্ত হতে পারে। এসব উপসর্গ দেখা দিলে একজন রোজাদার ডায়াবেটিস রোগী অবশ্যই তা দিনের যে সময়ই হোক দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা পরখ করবেন।
রমজানে যে চিনি কেবল কমে যায়, তা নয়। কখনো কখনো বিশৃঙ্খল ও সীমার বাইরে খাবারদাবারের কারণে অতিরিক্ত বেড়েও যেতে পারে।
কতবার পরীক্ষা করবেন
রক্তে চিনির মাত্রা কতবার পরীক্ষা করবেন, তার প্রয়োজনীয়তা কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। ডায়াবেটিসের ধরন ও চিকিৎসার জন্য সেবন করা ওষুধ এর মধ্যে অন্যতম।
যাঁদের রোজা রাখলে বিপদের ঝুঁকি বেশি, তাঁদের ঘন ঘন পরখ করা জরুরি। যাঁদের রোজা রাখলে ঝুঁকির মাত্রা মৃদু, তাঁরা সপ্তাহে দুই বা তিন দিন দিনে এক বা দুবার করবেন। যাঁদের ঝুঁকির মাত্রা তীব্র, তাঁদের বারবার এটি পরখ করা দরকার।
কখন চিনির মাত্রা জানবেন
সাধারণত সাহ্রি, সকাল, মধ্যাহ্নের পর, ইফতারের আগে ও ইফতারের দুই ঘণ্টা পর। এ ছাড়া যেকোনো সময় কমা বা বাড়ার লক্ষণ অনুভব করলে চিনির মাত্রা পরখ করতে হবে। ♦