প্রতিদিন সাহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে রোজা শুরু হয় আর শেষ হয় ইফতার গ্রহণের মধ্য দিয়ে। চন্দ্র-সূর্যের উদয়-অস্তের তারতম্যের কারণে কোনো দেশে রোজা ২২ ঘণ্টা। কোনো দেশে ১১ ঘণ্টা। সময়ের ভিন্নতার কারণে রোজা পালন শুরু একদিন আগে-পরে হয়। রোজার সময়ও কমবেশি হয়। কোনো দেশে ইফতার করে তারাবি, বিশ্রাম ও সেহরি খাওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় পাওয়াও কষ্টসাধ্য। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে রোজা সবচেয়ে দীর্ঘ। ওই সব দেশে ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা রোজা রাখতে হয়। যদি এমন দিনে রোজা হয় যে সূর্য অস্তই যাচ্ছে না, তখন নিকটবর্তী শহর যেখানে সূর্য অস্ত যায় অথবা মক্কা-মদিনার সঙ্গে সময় হিসাব করে রোজা রাখা হয়।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এ বছর সবচেয়ে দীর্ঘ রোজা হচ্ছে গ্রিনল্যান্ড, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ডের মুসলিমদের। আর সবচেয়ে কম সময়ের জন্য রোজার দেশগুলোতে ওপরের সারিতে আছে চিলি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আর্জেন্টিনা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বছর সবচেয়ে কম সময়ের রোজা হচ্ছে ১১ ঘণ্টা ৫ মিনিট চিলি, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা ও নিউজিল্যান্ডে। আর গ্রিনল্যান্ডে ২২ ঘণ্টা, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ডের মুসলিমদের প্রায় ২১ ঘণ্টা রোজা রাখতে হচ্ছে। সুইডেন ও জার্মানিতে রোজা প্রায় ১৯ ঘণ্টা। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ১৮ ঘণ্টা ৫ মিনিট, কানাডার অটোয়ায় ১৭ ঘণ্টা, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ১৬ ঘণ্টা আর রাশিয়ার মস্কোতে রোজা রাখতে হচ্ছে ১৭ ঘণ্টা। এ বছর বাংলাদেশ, ভারত, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা রোজা রাখতে হচ্ছে। পাকিস্তানে ১৬ ঘণ্টা। তুরস্কের আঙ্কারায় ১৬ ঘণ্টা ৫ মিনিট, ইরানে ১৬ ঘণ্টা ও জাপানের টোকিওতে ১৬ ঘণ্টা, চীনে ১৬ ঘণ্টা ৫ মিনিট রোজা রাখতে হচ্ছে।
ব্রাজিলে রোজা হচ্ছে ১২ ঘণ্টা ৫ মিনিট, চিলিতে ১১ ঘণ্টা ৫ মিনিট, মিশরে ১৫ ঘণ্টা ৫ মিনিট, সুদানে ১৪ ঘণ্টা ৫ মিনিট, শ্রীলঙ্কায় ১৪ ঘণ্টা, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১২ ঘণ্টা, অস্ট্রেলিয়ায় ১১ ঘণ্টা ৫ মিনিট, নিউজিল্যান্ডে ১১ ঘণ্টা ৫ মিনিট, মালয়েশিয়ায় ১৩ ঘণ্টা ৫ মিনিট ও ইতালিতে ১৭ ঘণ্টা। ♦