বরেণ্য অভিনেত্রী রওশন জামিলকে হারানোর ১৮ বছর

0

বাংলা চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেত্রী রওশন জামিল। উনিশ শতকের ষাট থেকে সত্তরের দশকের পুরোটা সময় তিনি ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অনন্য অভিনেত্রী ও আপন সৃজনী ক্ষমতা প্রদর্শনে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।

২০০২ সালের ১৪ মে রওশন জামিল পরলোকেগমন করেন।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এফডিসির মসজিদে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।

রওশন জামিল নৃত্যশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও এক সময় পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এদেশে যখন ছেলেদের মেয়ে সেজে মঞ্চে অভিনয় করতে হতো, তখনই (১৯৫২ সালের দিকে) রওশন জামিল জগন্নাথ কলেজে মঞ্চায়িত শরৎচন্দ্রের ‘দেবদাস’ নাটকে অভিনয় করেন।

তিনি বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হন।

১৯৬৫ সালে টেলিভিশনে ‘রক্ত দিয়ে লেখা’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে রওশন জামিলের অভিনয়জীবন শুরু হয়। বিটিভির ‘ঢাকায় থাকি’ ও ‘সকাল সন্ধ্যা’ ধারাবাহিক নাটকের অভিনয় তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে।

১৯৬৭ সালে আরব্য রূপকথা ‘আলিবাবা চল্লিশ চোর’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন তিনি। অভিনেত্রী হিসেবে তিনি নতুন একটি স্টাইল নির্মাণ করেন।

তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো—মনের মত বউ, জীবন থেকে নেয়া, তিতাস একটি নদীর নাম, সূর্য সংগ্রাম, গোলাপী এখন ট্রেনে, আবার তোরা মানুষ হ, ওরা ১১ জন, মাটির ঘর, সূর্য দীঘল বাড়ী, দেবদাস, রামের সুমতি, জননী, নয়নমণি, জীবন মৃত্যু, মাটির কোলে, বাঁধনহারা, দহন ইত্যাদি।

রওশন জামিল একমাত্র অভিনেত্রী যিনি একাধারে জহির রায়হান, ঋত্বিক ঘটক, শেখ নিয়ামত আলী, আমজাদ হোসেনের মতো কিংবদন্তি পরিচালকদের সিনেমায় কাজ করেছেন।

সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদানের জন্য রওশন জামিল দীর্ঘ কর্মজীবনে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, টেনাশিনাস পদক, সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড, বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার, তারকালোক পুরস্কার।

নৃত্যে তিনি ১৯৯৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

Share.