প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি মালিকানাধীন কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ নাসডাকে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ব্যাপক চাহিদার কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির দশ মিলিয়নের বেশি শেয়ার বিক্রিও হয়ে গেছে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. সাইফুল খন্দকার বিগত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছেন নাসডাকে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য।
গত ১৯ অক্টোবর ফিনটেক ইকো সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের নাম ভেসে ওঠে টাইমস স্কোয়ারে স্থাপিত নাসডাকের বিশাল বিলবোর্ডে।
ড. সাইফুল খন্দকারের এ পথ মোটেও সহজ ছিলো না। বহু বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে সততা ও কঠিন পরিশ্রমে আজ এ পর্যায়ের পৌঁছেছেন তিনি।
প্রথম বাংলাদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজার (নাসডাক) অন্তর্ভুক্ত হলো ফিনটেক ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (এফইডিসি)।
১ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের টাইমস স্কয়ারের জে সুইটসের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ড. সাইফুল খন্দকার।
এফইডিসি ১৮৪৫ কোটি টাকার আইপিও করে প্রথম বাংলাদেশি ফাউন্ডেড কোম্পানি হিসেবে ন্যাসডাকে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে একজন বাংলাদেশির উদ্যোগে গড়ে তোলা একটি আন্তর্জাতিক ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিনটেক কোম্পানিরও সূচনা হলো যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে।
সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানিটির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ড. সাইফুল খন্দকার। এ সময় তিনি বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা শেয়ার বাজার সম্পৃক্ত তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৮ অক্টোবর ন্যাসডাকে তালিকাভুক্তির পর এফইডিসি এ পর্যন্ত ১৬০ মিলিয়ন ডলারের মূলধন সংগ্রহ করেছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশি মেধায় তিলে তিলে গড়ে তোলা একটি আন্তর্জাতিক ফিনান্সিয়াল প্রোডাক্ট বাজারে আনবেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৫ সালের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০টি ফিনান্সিয়াল প্রোডাক্ট আন্তর্জাতিকভাবে একটি অবিচ্ছেদ্য ফিনান্সিয়াল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ইন্ডিপেন্ডেন্ট পরিচালক মাইকেল এস টমক্রিজেক ও মঞ্জুর হোসেন। ♦