মূল্যায়ন ছাড়া শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করা যাবে না

0

কোনো মূল্যায়ন ছাড়া পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার সুযোগ নেই। আবার শিক্ষার্থী মূল্যায়নে বড় আকারে বার্ষিক পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে এমন বাধ্যবাধকতাও নেই। কোন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন করা হবে সে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, এক শ্রেণি থেকে ওপরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণের জন্য অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে অটোপাশের সুযোগ নেই।

জানা গেছে, পাবলিক পরীক্ষাগুলো আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। আইনের বাধ্যবাধকতার জন্য পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু স্কুলের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা যেহেতু আইন দ্বারা পরিচালিত নয়, তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ মূল্যায়নের প্রক্রিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

করোনা দুর্যোগের কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া কার্যত বন্ধ। হাতে গোনা কিছু প্রতিষ্ঠান অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ না থাকায় অনলাইনের ক্লাসও কার্যত ফলপ্রসূ হচ্ছে না। গ্রামের স্কুলগুলো অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে পারছে না। এ কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে পরবর্তী শ্রেণিতে উর্ত্তীণের জন্য অটোপাশের দাবিও তুলেছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড় আকারের পরীক্ষা ছাড়াও মূল্যায়নের নানা পদ্ধতি রয়েছে। কোন শ্রেণিতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় শিক্ষার্থী কত নম্বর পেয়েছে তার ওপর ভিত্তি করেই শিক্ষক বার্ষিক পরীক্ষায় নম্বর দিতে পারেন। শুধু লিখিত পরীক্ষা নয়, মৌখিক পরীক্ষাও হতে পারে।

(দৈনিক ইত্তেফাকের সাহায্য নিয়ে লেখা)

Share.