আন্তর্জাতিক জ্বালানি কোম্পানি শেভরন ও টোটাল মিয়ানমার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে প্রতিষ্ঠান দুটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত শুক্রবার প্রতিষ্ঠান দুটির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানায়, মায়ানমারের সামরিক জান্তার আয়ের উৎস বন্ধ করতে প্রচার চালানো গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের জন্য এটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির সম্পর্ক ছিন্ন করার ডাক দেয়া অ্যাক্টিভিস্টদের জন্য এ ঘোষণা বড় জয়।
এক বিবৃতিতে এই ফরাসি কোম্পানি টোটালএনার্জিস মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, মানবাধিকার পরিস্থিতি ও আইনের শাসনের অবনতির কারণে টোটালের পক্ষে দেশটিতে টিকে থাকা কষ্টকর। গত বছর নিজেদের নাম পরিবর্তন করে টোটাল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান শেভরন জানিয়েছে, পরিস্থিতির কারণে তারা মিয়ানমার ত্যাগের পরিকল্পনা করছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তা বিরোধিতাকারীদের ওপর তীব্র দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বেসামরিক মানুষরা প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তোলেন। জান্তার বিরোধিতা করায় অন্তত ১১ হাজার ৬৫১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মারা গেছেন ১ হাজার ৪৮৮ জন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে মিয়ানমারে প্রতিবছর ১০০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসে। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বৃহত্তম উৎস এটি। এর অর্থের পুরোটাই জান্তার, বিভিন্ন খাতে তারা এ অর্থ ব্যয় করে।
গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশক থেকে মিয়ানমারের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ইয়াদানা গ্যাস প্রকল্প পরিচালনা করছে টোটালএনার্জিস। গ্যাসক্ষেত্রটির ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ মালিকানা রয়েছে তাদের। এখানে শেভরনের মালিকানা রয়েছে ২৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। শেভরন এখান থেকে মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ করে। ♦